ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়। এই আন্দোলনের পটভূমি, নায়ক এবং ঘটনার ধারাবাহিকতা তুলে ধরা হয়েছে সহজ ভাষায় এই ব্লগে। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সহায়ক হতে পারে এই তথ্যভান্ডার। বাংলার আত্মপরিচয়ের সংগ্রামে ভাষা আন্দোলনের অবদান অপরিসীম।
ভাষা-আন্দোলন-সম্পর্কিত-সাধারণ-জ্ঞান
তাই আপনারা যদি ভাষা আন্দোলন রচনা লেখার জন্য তথ্য পেতে চান এবং ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান পেতে চান তাহলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান

এই আর্টিকেল থেকে আপনি যা যা জানতে পারবেন তা এক নজরে দেখে নিন-

ভূমিকা

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান বলতে ১৯৫২ সালের ভাষার অধিকারের জন্য বাঙালির সংগ্রামকে বোঝায়। এটি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতির জন্য একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়, যা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই আন্দোলনেই প্রথমবার স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়। শিক্ষা ও জাতীয় সচেতনতার ক্ষেত্রে এ আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান

১৯৫২ সালের সাধারণ জ্ঞান প্রথমে আলোচনা করার পরে আমি আপনাদের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত পিডিএফ দিয়ে দিব। এই ভাষা আন্দোলন PDF কালেকশন থেকে আপনি যেকোনো ধরনের ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক রচনা নিজের মতো করে লিখতে পারবেন। ভাষা আন্দোলনের রচনায় আপনি এই পিডিএফ থেকে ১০টি পয়েন্ট অথবা ১৫টি পয়েন্ট কিংবা ২০টি পয়েন্ট নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন।


ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক সাধারণ জ্ঞান অনলাইনে আপনারা অনেক পাবেন কিন্তু গোছানো একটি হ্যান্ড নোট কোথাও পাবেন না। তাই এই আর্টিকেলের সকল তথ্য আপনাকে একটি গোছানো এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে।

এছাড়া এই আর্টিকেলের ১৯৫২ সাল সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান আপনারা বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাতে কমন পাবেন। চাকরির পরীক্ষার বিভিন্ন ভাইভা গুলোতে ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে অনেক অনেক প্রশ্ন করে।

তাই সরকারি চাকরির যে কোন মৌখিক পরীক্ষায় আপনাকে অবশ্যই ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালের সাধারণ জ্ঞান এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান গুলো জেনে রাখতে হবে।


বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এবং মৌখিক ভাইভা গুলোতে নিচের এই ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত প্রশ্নগুলো করে থাকে। আসলে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ইতিহাস অনেক বড়। এই সম্পূর্ণ ইতিহাস থেকে ভাইভাতে আপনাকে প্রশ্ন করবে না।

এছাড়া চাকরির প্রিলি পরীক্ষাতেও সম্পূর্ণ ইতিহাস থেকে প্রশ্ন হবে না। আপনাকে ভাইভাতে কিছু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্রশ্ন করবে। তাই যে সমস্ত জায়গা গুলো থেকে ভাইভাতে প্রশ্ন করে সেই তথ্যগুলো আপনারা এখন নিচে পাবেন।
ভাষা-আন্দোলন

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান নিম্নরূপ নিচে দেওয়া হলঃ

*১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬.৪০ পার্সেন্ট লোকদের মুখের ভাষা ছিল বাংলা।

*উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয় দুইজন-
  • চৌধুরী খলিকুজ্জামান
  • ড. জিয়াউদ্দিন আহম্মদ
*আমরা হিন্দু ও মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য এই যে আমরা বাঙালি- উক্তিটি কে করেছেন?
  • ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
*তমদ্দুন মজলিস গঠন করা হয় ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর এবং তমদ্দুন মজলিস গঠন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে।

*ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তক প্রকাশিত হয় ১৯৬৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক এই প্রথম পুস্তকটি প্রকাশিত করে তমদ্দুন মজলিস সংগঠন।

*ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকার নাম হচ্ছে-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু।

*রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন-অধ্যাপক নুরুল হক ভূঁইয়া।

#সংগ্রাম পরিষদ সমাধানঃ

সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি/আহ্বায়ক গঠিত হয়
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ অধ্যাপক নুরুল হক ভূঁইয়া ১৯৪৭
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ কামরুদ্দিন আহমেদ ২ মার্চ ১৯৪৮
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি আতাউর রহমান খান - কাজী গোলাম মাহবুব (আহবায়ক) ২৬শে জানুয়ারি ১৯৫২
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ কাজী গোলাম মাহবুব (আহবায়ক) ৩ জানুয়ারি ১৯৫২

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান ও বেসিক তথ্য

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান ও বেসিক তথ্যগুলো এখন জেনে নিন-
  • পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন- মালিক গোলাম মোহাম্মদ।
  • পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিম উদ্দিন।
  • পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।
১৯৪৭ঃ 

সেপ্টেম্বর ১- 'তমদ্দুন মজলিস' ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান (অধ্যাপক আবুল কাশেম প্রতিষ্ঠাতা)। অধ্যাপক আবুল কাশেম তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তমদ্দুন মজলিস সেই সময় সর্বপ্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য দাবি করে এবং তমুদ্দিন মজলিসের হাত ধরে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়।

১৯৪৮ঃ

মার্চ ২- রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ / সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করা হয় কামরুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে।

মার্চ ১১- এই দিন ঢাকা শহরে ব্যাপকভাবে সাধারণ ধর্মঘট শুরু হয় এবং শেখ মজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৯৪৯ঃ 
  • ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে পূর্ববাংলা ভাষা কমিটি গঠন করা হয়। 
  • পূর্ব বাংলা সরকারের সভাপতি ছিলেন আকরাম খাঁ। পূর্ব বাংলা সরকার ছিল ১৭ সদস্য বিশিষ্ট। বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র ছিল দৈনিক আজাদ, এই সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আকরাম খাঁ।
১৯৫২ঃ 

*পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৫২ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালে এটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ।

*জানুয়ারি ২৬- সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠন। আতাউর রহমান খান সভাপতি ছিলেন, গোলাম মাহবুব ছিলেন আহবায়ক।

*জানুয়ারি ৩১- সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন। সভাপতি ছিলেন ভাসানি, আহবায়ক ছিলেন গোলাম মাহবুব।

*১৯৫২ ফেব্রুয়ারি ২১- ওয়াকআউট অর্থাৎ শ্রমিক ধর্মঘট হয়।

*ফেব্রুয়ারি ২১- (বৃহস্পতিবার) 'রাষ্ট্রভাষা দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত + হরতাল।

*১ম শহীদঃ রফিক উদ্দীন। 
  • আবুল বরকত একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হন, তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন।
  • শফিউর রহমান, তিনিও একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হন।
১৯৫৪ঃ 

মে ৯- গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার স্বীকৃতি।

১৯৫৬ঃ

ফেব্রুয়ারি ১৬- সংবিধানের ২১৪(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন পাশ।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদ গণ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের নাম এবং পরিচয় জেনে নিন-

১) আবুল বরকত
  • তার ডাক নাম - আবাই।
  • তিনি ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্র।
২) আবুস সালাম
  • তিনি পিয়ন পদে চাকরি করতেন।
৩) আব্দুল জব্বার
  • তিনি পেশায় দর্জি ছিলেন।
৪)রফিক উদ্দিন আহমদ 
  • তিনি জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ছিলেন।
৫) শফিউর রহমান
  • তিনি ঢাকা হাইকোর্টে কেরানি ছিলেন।
  • তার জন্ম স্থান- ২৪ পরগানা।
* ১৯৪৮-৫২ পর্যন্ত ভাষা দিবস পালন করা হত - ১১ ই মার্চ।
* ২২শে ফেব্রুয়ারী মৃত্যু বরন করেন- শফিউর রহমান।

১৯৫২ তে পাকিস্তানের শাসক

১৯৫২ সালের পাকিস্তানের শাসকগনের তালিকা নিচে দেওয়া হল-

গভর্নর জেনারেল= মালিক গোকুলাম সোহাম্মদ। 
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী= খাজা নাজিমউদ্দীন। 
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী= নুরুল আমিন।

পূর্ব বঙ্গের আইন পরিষদের সদস্য

নিম্ন রূপ তাদের নাম নিচে দেওয়া হল- 

১) মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ
২) মিসেস আনোয়ারা খাতুন 
৩) খয়রাত হোসেন 
৪) আবুল কালাম শামসুদ্দিন 

নোটঃ মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ এবং আবুল কালাম শামসুদ্দিন এই দুইজন= (মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারি) এবং (প্রাদেশিক আইন চরপরিষদের সদস্যপদ পরিত্যাগ)।

শহীদ মিনার

শহীদ মিনার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

১৯৫২ঃ
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি- শহীদ মিনার নির্মানের কাজ শুরু।
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি- শহীদ মিনার উদ্ভোধন। 
  • ২৬ ফেব্রুয়ারি- শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা হল।
১৯৫৭ঃ শহীদ মিনার নিয়ে শিল্পি হামিদুর রহমানের পরিকল্পনা।

১৯৫৮ঃ শহীদ মিনারের কাজ বন্ধ।

১৯৬২ঃ মূল নকশার পরিবর্তন করে শহীদ মিনার নির্মাণ।

১৯৭২ঃ শহীদ মিনার পুনঃ নির্মাণ।

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কবিতা-নাটক-উপন্যাস-গান

কবিতাঃ

১) কাদতে আসিনি (মাহবুব-উন-আলস)
২) স্মৃতির মিনার (আলাউদ্দিন আল আজাদ)

নাটকঃ
 
১) কবর (মুনীর চৌধুরী)

উপন্যাসঃ

১) আরেক ফাল্গুন (জহির রায়হান)

গানঃ

১) আমার ভাইয়ের (লেখকঃ আব্দুল গাফফার, সুরকারঃ আবদুল লতিক আলতাফ মাহমুদ)
২) ওরা আমার মুখের.... (গীতিকার ও সুরকারঃ আব্দুল লতিফ)
৩) হাজার সানাম (গীতিকারঃ ফজলে খোদ, সুরকারঃ আবদুল জব্বার)

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত PDF

এখানে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ইতিহাস দেওয়া রয়েছে। আপনি এর মধ্যে থেকে ১৯৫২ সালের তথ্যগুলো পড়ে নিবেন। 👇

FAQ

১) ভাষা আন্দোলন কী ছিল এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ তারিখে পুলিশ গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের শহীদ করে, যা আজ 'মহান ভাষা দিবস' হিসেবে পালিত হয়। ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি তৈরি করে।

২) পূর্ব পাকিস্তান কারা ছিল?
উত্তরঃ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছিল বর্তমানের বাংলাদেশ এবং তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান ছিল বর্তমানের পাকিস্তান।

৩) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের নেতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

৪) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শহীদদের নাম কী কী?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন- আবুল বরকত, আবুস সালাম, আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমদ এবং শফিউর রহমান। ভাষা আন্দোলন এর প্রথম শহীদ ছিলেন রফিক উদ্দিন আহমদ।

৫) ভাষা আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ফলাফল কি?
উত্তরঃ ভাষা আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ফলাফল হচ্ছে- ১৯৬৬ এর ছয় দফা দাবি এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা।

৬) ভাষা আন্দোলনের জনক কে ছিলেন?
উত্তরঃ ভাষা আন্দোলনের জনক কে ছিলেন তমদ্দুন মজলিস এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাসেম।

৭) প্রথম বাংলা ভাষার দাবি করেন কে?
উত্তরঃ গণপরিষদে প্রথম বাংলা ভাষার দাবি করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

৮) ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন কি বার ছিল?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন হয়েছিল বৃহস্পতিবার।

৯) ১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন- নুরুল আমিন।

১০) বাংলার প্রথম শহীদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ বাংলার প্রথম শহীদ কে ছিলেন- শংকু সমজদার।

উপসংহার

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান শুধু ইতিহাস নয়, জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতিচ্ছবি। এই আন্দোলন আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি শেখার ও গর্ব করার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই গৌরবময় ইতিহাসকে মনে রাখে, সেটাই আমাদের দায়িত্ব। ভাষা আন্দোলনের তথ্য জানা মানেই নিজের শিকড়কে আরও গভীরভাবে বোঝা।
এই পোস্ট শেয়ার করুন
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url