ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন | ইসলাম শিক্ষা ভাইভা প্রশ্ন

আপনারা যারা ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়াশোনা করেন তাদের চাকরির ভাইভাতে ইসলাম শিক্ষা ভাইভা প্রশ্নগুলো জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আমি আজকে এই ব্লক পোস্টে ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন উত্তর সহ প্রদান করব। আপনারা এখান থেকে এই ভাইভা প্রশ্নগুলো পড়ে গেলে, ভাইভা বোর্ডে অনেক উপকৃত হবেন ইনশাল্লাহ।

ইসলামিক-স্টাডিজ-ভাইভা-প্রশ্ন
তাই আপনারা যদি ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন সম্পর্কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন | ইসলাম শিক্ষা ভাইভা প্রশ্ন

এই আর্টিকেলে আপনারা যা যা জানতে পারবেন তা এক নজরে দেখে নিন-

৫০টি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন

ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন। কুরআন, হাদিস, ইসলামী ইতিহাস ও সমকালীন বিষয়ের ওপর ভাইভাতে প্রশ্ন করতে পারে। এছাড়া আকিদা, ইবাদত, ইসলামিক ইতিহাস ও আধুনিক জীবনে ইসলামের ভূমিকা সম্পর্কিত প্রশ্ন ভাইভা বোর্ডে করতে পারে। তাই অধ্যয়ন করুন নবীদের জীবনী ও ইসলামি বিধানসমূহ এবং কুরআন ও হাদিস থেকে বিশুদ্ধ তথ্য সংগ্রহ করে পড়াশোনা করুন।


বাসায় আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুশীলন করুন। ভালো প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পড়াশোনা করুন। আত্মবিশ্বাস ও স্পষ্টভাবে উত্তর দেওয়ার দক্ষতা বাড়াতে হবে। নিয়মিত বাসায় চর্চা করলে ভাইভায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব।

নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ৫০ টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেয়া হলো-

১) ঈমান শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস।

২) ঈমান কত প্রকার?
উত্তরঃ ঈমান দুই প্রকার। যেমনঃ
  • ঈমানে মুজমাল বা সংক্ষিপ্ত ঈমান
  • ঈমানে মুফাসসাল বা বিস্তারিত ইমান।
৩) ইসলাম কিসের বহিঃপ্রকাশ?
উত্তরঃ ইসলাম হচ্ছে ঈমানের একটি বহিঃপ্রকাশ।

৪) ইসলাম ও ঈমানের মধ্যে সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ একটি গাছের সাথে শেকড়, লতা পাতার যেরুপ সম্পর্ক রয়েছে ঠিক তেমনি ইসলাম ও ঈমানের মধ্যে ঠিক সেরকম সম্পর্ক রয়েছে।

৫) ঈমানের মধ্যে কয়টি দিক রয়েছে?
উত্তরঃ ঈমানের মধ্যে ৩টি দিক রয়েছে।

৬) মুসলিম কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি ইসলামের বিধি-বিধান অনুসারে চলাফেরা করে এবং জীবন যাপন করে তাকে বলা হয় মুসলিম।

৭) মুমিন কাকে বলে?
উত্তরঃ যিনি ঈমান এনেছেন তাকেই বলা হয় মুমিন।

৮) যারা মুমিন তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা কি পুরস্কার দিবেন?
উত্তরঃ যারা মুমিন তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা জান্নাতুল ফিরদাউস দান করবেন।

৯) একমাত্র আদি ও অনাদি কে?
উত্তরঃ একমাত্র আদি ও অনাদি হচ্ছে মহান আল্লাহতালা।

১০) পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ কোনটি?
উত্তরঃ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ হচ্ছে আল্লাহ।

১১) আল-কোরআন কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণ অর্থে- ইসলামী শরীয়তের সকল বিধি-বিধানের মূল উৎস, ভিত্তি, অকাট্য ও প্রামাণ্য যে দলিল রয়েছে তাকেই আল কোরআন বলে।

ব্যাপক অর্থে- মানবজাতির হেদায়েত প্রদান করার জন্য মহান আল্লাহতালা হযরত জিব্রাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে, আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যে কিতাব নাজিল করেছিলেন তাকে আল-কোরআন বলা হয়।

১২) ইসলামকে কেন সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম বলা হয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। যেসব মূলনীতি ও বিধি-বিধানকে দিন বলা হয় এবং যা হযরত আদম থেকে শুরু করে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত  সব নবীর মধ্যে সমানভাবে বিদ্যমান রয়েছে।


ইসলাম হচ্ছে সেই ধর্ম যা মহান আল্লাহতালা মানবজাতির হযরত আদম থেকে শুরু করে একদম শেষ নবী পর্যন্ত, এমনকি এখন পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে। এ ধর্ম ততদিন থাকবে যতদিন এই পৃথিবীর মানুষ থাকবে। মহান আল্লাহতালা ইসলাম ব্যাতীত অন্য কোন ধর্ম পাঠাননি। এজন্যই অন্যান্য ধর্মের বিভিন্ন ত্রুটি থাকলেও ইসলাম ধর্মে কোন ত্রুটি নেই। তাই ইসলাম ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম বলা হয়।

১৩) ইসলামে সর্বমোট কয়টি পথ রয়েছে?
উত্তরঃ ইসলামে সর্বমোট একটি পথ রয়েছে এবং সেই পথটি হচ্ছে ইসলামের পথ। ইসলামিক পথে নিদর্শনকারী ব্যক্তি নাই জান্নাতে যাবে। যারা ইসলামিক পথ ব্যতীত অন্য দলে থাকবে তারা সকলেই জাহান্নামে যাবে।

১৪) মহানবী সাঃ কত বছর বয়সে মারা যান?
উত্তরঃ মহানবী সাঃ ৬৩ বছর বয়সে মারা যান।

১৫) কোরআনের কোন সূরাকে কুরআনের চূড়া বলা হয়?
উত্তরঃ সূরা বাকারা কে কোরআনের চূড়া বলা হয়।

১৬) ইসলামের একটি পথ কোনটি?
উত্তরঃ যে পথে নবী রাসুলরা এবং সাহাবীরা ছিলেন এবং মেনে চলতেন সেই পথকেই বলা হয় ইসলামের একটি পথ।

১৭) ঈমানের শাখা কয়টি?
উত্তরঃ ঈমানের শাখা ৭০টি।

১৮) হাদিসের সনদ কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণ অর্থে- হাদিস বর্ণনার যে ধারাবাহিকতা তাকে বলা হয় হাদিসের সনদ।

ব্যাপক অর্থে- হাদিসের কথাগুলো যে সুত্রের মাধ্যমে পরস্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে  তাকে বলা হয় হাদিসের সনদ।

১৯) হাদিসের মতন কাকে বলে?
উত্তরঃ হাদিসের মধ্যে যে মূল কথাগুলো রয়েছে এবং শব্দ সমষ্টিকে বলা হয় হাদিসের মতন।

২০) হাদিসের বর্ণনাকারী বা রাবীর গুণাবলী অনুযায়ী হাদিস কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ হাদিসের বর্ণনাকারী বা রাবীর গুণাবলী অনুযায়ী হাদিস ৪টি। যেমনঃ
  • সহীহ হাদিস
  • হাসান হাদিস
  • যয়ীফ হাদিস
  • মউদ হাদিস
২১) হাদিসের সংকলন কোন যুগ থেকে শুরু হয়েছে?
উত্তরঃ হাদিসের সংকলন শুরু হয় হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষ ভাগে।

২২) হাদিসের সংকলন হিজরে প্রথম শতাব্দীর শেষ ভাগে কার নেতৃত্বে শুরু হয়?
উত্তরঃ হাদিসের সংকলন হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষ ভাগে উমাইয়া খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাঃ এর নেতৃত্বে শুরু হয়।

২৩) কোরআন ও হাদিসে কুদসীর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ কোরআন ও হাদিসে কুদসীর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ নিচে দেওয়া হলঃ

কোরআন হাদিসে কুদসী
কুরআনের ভাব ও ভাষা দুটি আল্লাহর হাদিসের ভাষার বর্ণনা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর
কুরআনুল কারীম সালাতে তেলাওয়াত করা হয় হাদিসে কুদসী সালাতে তেলাওয়াত করা হয় না
কুরআনুল কারীম হচ্ছে অনাদি-অনন্ত হাদিসে কুদসী অনাদি-অনন্ত নয়

২৪) আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কোন মাযহাব অনুসরণ করতেন?
উত্তরঃ আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কোন মাযহাব অনুসরণ করতেন না কারণ তিনি সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে ওহী পেতেন এবং সেই মোতাবেক ইসলামিক মানবজাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিতেন ও নিজেও পালন করতেন।

২৫) ওহী বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সাধারণ অর্থে- নবীগণদের ওপরে আল্লাহর প্রেরিত বাণী গুলোকেই ওহী বলা হয়।

ব্যাপক অর্থে- মহান আল্লাহতালা নবী গণের ওপরে যা নাযিল করেছেন এগুলোকেই বলা হয় ওহী।

২৬) ওহী সর্বমোট কত প্রকার?
উত্তরঃ ইসলামের ওহী সর্বমোট ২ প্রকার। যেমনঃ
  • ওহীয়ে মতলু বা ওহীয়ে জলী বা প্রত্যক্ষ ওহী।
  • ওহীয়ে গাইরে মতলু বা ওহীয়ে খফী বা প্রচ্ছন্ন ওহী।
২৭) ওহীয়ে মতলু কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত ওহীর ভাব, ভাষা ও ব্যাখ্যাসমূহ মহান আল্লাহ তায়ালার তত্ত্বাবধানে নাযিল হয়েছেন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন এবং সেই ওহী গুলো নবী-রাসূলগণ আল্লার ভাষায় প্রকাশ করেছেন সেগুলোকেই বলা হয় ওহে মতলব ওহীয়ে মতলু।

২৮) ওহীয়ে মতলু এর উদাহরণ কোনটি?
উত্তরঃ পবিত্র কুরআন মাজীদ।

২৯) ওহীয়ে গাইরে মতলু বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ যে সমস্ত ওহী গুলোর ভাবার্থ মহান আল্লাহতালার কাছ থেকে এসেছে ঠিকই কিন্তু সেই ওহীগুলোর ভাবার্থ নবীরা নিজ ভাষায় যখন বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করেছেন সেগুলোকেই বলা হয় ওহীয়ে গাইরে মতলু।

৩০) ওহীয়ে গাইরে মতলু এর উদাহরণ কোনটি?
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস ই হচ্ছে ওহীয়ে গাইরে মতলু।

৩১) রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কয়েকজন ওই লেখকের নাম কি কি?
উত্তরঃ যারা রাসুলুল্লাহ সাঃ ওহী লিখেছেন তাদের নাম হচ্ছে-
  • মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান
  • আলী বিন আবী তালেব
  • উবাই বিন কাব প্রমুখ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা
  • জায়েদ বিন ছাবেত ইত্যাদি।
৩২) হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে খোলাফায়ে রাশে দিন এর সম্পর্ক কি ছিল?
উত্তরঃ খোলাফায়ে রাশেদীনরা শুধুমাত্র আমাদের শেষ নবীর পথপ্রদর্শক ছিলেন কারণ শেষ নবীর মৃত্যুর পর তারাই ইসলামের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

৩৩) ইসলামের চার খলিফার নাম কি?
উত্তরঃ ইসলামের চারজন খলিফার নাম হচ্ছে-
  • হযরত আবু বকর রাঃ
  • হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ
  • হযরত উসমান ইবন আফফান রাঃ
  • হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রাঃ
৩৪) পঞ্চম খলিফার নাম কি?
উত্তরঃ পঞ্চম খলিফার নাম হচ্ছে- উমর ইবনে আব্দুল আজিজ।

৩৫) ইসলাম ধর্মে নারীদের মর্যাদা কি?
উত্তরঃ ইসলাম ধর্মের নারীদের মধ্যে যে সকল মর্যাদা গুলো দিয়েছে তা নিম্নরূপ নিচে দেওয়া হল-
  • পবিত্র আল-কোরআন এবং হাদিসে মা কে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
  • বিধবা নারীদেরঅথবা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
  • নিজ পছন্দ মত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে।
  • নারীকে উত্তরাধিকার সূত্রে স্থাবর-অস্থাবর ও সম্পদের ভাগ পাওয়ার জন্য অধিকার দিয়েছে ইসলাম।
৩৬) তাফসীরে জালালাইন এর লেখক কে?
উত্তরঃ তাফসীরে জালালাইন লিখেছেন দুইজন। তাদের নাম গুলো হচ্ছে-
  • জালালুদ্দিন মহল্লী
  • জালালুদ্দিন সুয়ুতী
৩৭) কাকে জীবন্ত শহীদ বলা হয়?
উত্তরঃ সাহাবী তালহা বিন উবায়দুল্লাহ কে জীবন্ত শহীদ বলা হয়।

৩৮) বিশ্বনবী কোন বাহনে করে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বিশ্বনবী বোরাক বাহনে করে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় গিয়েছিলেন।

৩৯) কোন সূরাকে উম্মুল কুরআন বলা হয়?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহাকে উম্মুল কুরআন বলা হয়।

৪০) কুরআনের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ কুরআনের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত হচ্ছে আয়তুল কুরসী।

৪১) তাফসীরে জালালাইন এর অর্থ কি?
উত্তরঃ যেহেতু তাফসীরে জালালাইন দুইজন একই নামের ব্যক্তিকর্তৃক লিখিত হয়েছে সেহেতু তাদের দুইজনের নামের উপর নির্ভর করে এটার অর্থ দেওয়া হয়েছে তাফসীর আল জালালাইন।

৪২) জালাল উদ্দিন শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ এই নামের অর্থ হচ্ছে- দ্বীনের বড় কাজ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনাদের নামের অর্থগুলো আপনারা জেনে যাবেন এবং আপনার নামে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন।

৪৩) হাদিস শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ হাদিস শব্দের অর্থ হচ্ছে বাণী, কথা, ঘটনা, সংবাদ, উপদেশ, বক্তব্য ইত্যাদি।

৪৪) হাদিস বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ আমাদের বিশ্বনবী এবং শেষ নবীর সকল প্রকারের কাজ, কথা, কর্ম, অনুমোদন ও মনের সম্মতিকেই বলা হয় হাদিস।

৪৫) জান্নাতে নারীদের সরদার কে হবেন?
উত্তরঃ জান্নাতে নারীদের সর্দার হবেন ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু।

৪৬) জান্নাতে ধনী গরিবদের মধ্যে কারা বেশি থাকবে?
উত্তরঃ জান্নাতে গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি হবে।

৪৭) সিয়াহ সিত্তাহ শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ সিয়াহ সিত্তাহ শব্দের অর্থ- সঠিক বা শুদ্ধ।

৪৮) সিয়াহ সিত্তাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ ইসলামের বিশুদ্ধ যে ছয়টি হাদিস গ্রন্থ রয়েছে তাদেরকে একত্রে বলা হয় সিয়াহ সিত্তাহ।

৪৯) সিয়াহ সিত্তাহ হাদিস কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ সিয়াহ সিত্তাহ হাদিস ছয়টি। যেমনঃ
  • সহীহ বুখারী
  • সহীহ মুসলিম
  • সুনানে আবূ দাউদ
  • সুনানে আত-তিরমিজী
  • সুনানে নাসাই
  • সুনানে ইবনে মাজাহ
৫০) যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে তাদের কি বলা হয়?
উত্তরঃ যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে তাদের বলা হয় কাফের।

গুরুত্বপূর্ণ আরো ৫০টি ইসলাম শিক্ষা ভাইভা প্রশ্ন

ইসলাম-শিক্ষা-ভাইভা-প্রশ্ন
গুরুত্বপূর্ণ আরো ৫০টি প্রশ্ন উত্তরসহ দেওয়া হল-

১) সহীহ হাদিস কাকে বলে?
উত্তরঃ যে হাদিসের প্রত্যেক স্তরে ন্যায়পরায়ণ এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তির আলোচনা রয়েছে এবং কোন শুযুয ও ইল্লত নেই তাকেই বলা হয় সহীহ হাদিস।

২) সহীহ হাদিসের শর্ত কি কি?
উত্তরঃ সহীহ হাদিসের শর্ত ৫টি। যেমনঃ 
  • সনদ মুত্তাসিন
  • রাবী আদালত (ন‍্যায়পরায়ন)
  • বর্ণনা কারীদের যবত
  • শায না হওয়া
  • ইল্লতে ক্বাদেহা না থাকা।
৩) হূদ নবীর জাতির নাম কি?
উত্তরঃ হূদ নবীর জাতির নাম হচ্ছে- আ’দ।

৪) সালেহ নবীর জাতির নাম কি?
উত্তরঃ সালেহ নবীর জাতির নাম হচ্ছে- সামূদ।

৫) আল্লাহর কতটি গুণবাচক নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে।

৬) আল্লাহর আকার কেমন?
উত্তরঃ আল্লাহর কোন আকার নেই অর্থাৎ আল্লাহ নিরাকার। তিনি শুধু তারই মত। তার সাথে কোন কিছুর তুলনা যোগ্য হয় না। তিনি শুধু তার সাথে তুলনাযোগ্য।

৭) উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা কতজন ছিল?
উত্তরঃ উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা কতজন ছিল- প্রায় ৭০০।

৮) খন্দকের যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ খন্দকের যুদ্ধে শত্রুদের বিরাট সম্মিলিত বাহিনী মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিধান করেছিল বলে সেই যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধ বলা হয়।

৯) উহুদের যুদ্ধে শত্রুদের তীরের আঘাতে মারা গিয়েছিল কোন বীর?
উত্তরঃ মহাবীর হামজা উহুদের যুদ্ধে শত্রুদের তীরের আঘাতে মারা গিয়েছিল।

১০) বুখারী শরীফের পরিপূর্ণ নাম কি?
বুখারী শরীফের পরিপূর্ণ নাম হচ্ছে- আল জামি আল সাহীহ আল মুসনাদ মিন উমুরি রাসূলিল্লাহ ওয়া সুনানিহি ওয়া আইয়ামিহি।

১১) মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন কোনটি?
উত্তরঃ মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন হচ্ছে শুক্রবার জুম্মার দিন।

১২) ইমাম বুখারীর পূর্ণ নাম কি? 
উত্তরঃ মোহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইব্রাহিম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ।

১৩) ইমাম বুখারী কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ইমাম বুখারী জন্মগ্রহণ করেছিলেন খোরাসানের বুখারা নামক স্থানে এবং এটি বর্তমানে উজবেকিস্তান দেশের একটি অংশ।

১৪) ইমাম বুখারী কত সালে জন্মগ্রহণ করেছেন?
উত্তরঃ ইমাম বুখারী ১৯৪ হিজরী সালের ১৩ শাওয়াল শুক্রবারের দিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি ছিল ৮১০ খ্রিস্টাব্দ।

১৫) ইমাম বুখারী এর জন্ম নাম ও উপনাম কি?
উত্তরঃ ইমাম বুখারীর জন্ম নাম মোহাম্মদ এবং উপনাম নাম আব্দুল্লাহ।

১৬) ইমাম বুখারীর উপাধি কি ছিল?
উত্তরঃ ইমাম বুখারীর উপাধি হচ্ছে- আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদিস।

১৭) ইমাম বুখারীর বাবার নাম ও দাদার নাম কি?
উত্তরঃ ইমাম বুখারীর বাবার নাম ইসমাইল এবং দাদার নাম ইব্রাহিম। 

১৮) মুয়াত্মা মালেক কি?
উত্তরঃ সর্বপ্রথম ও সর্ব প্রধান প্রামাণ্য হাদিস গ্রন্থকে বলা হয় মুয়াত্মা মালেক।

১৯) মুয়াত্মা মালেক কে সংকলন করেছেন?
উত্তরঃ মুয়াত্মা মালেক সংকলন করেছেন ইমাম মালিক রাঃ।

২০) মুয়াত্মা মালেক কোথায় সংকলন হয়েছিল?
উত্তরঃ মুয়াত্মা মালেক মদিনায় সংকলন হয়েছিল।

২১) দাজ্জালের কোন পাশের চোখ নষ্ট থাকবে?
উত্তরঃ দাজ্জাল ডান পাশের চোখে কানা থাকবে।

২২) ইমাম মালিক রাঃ কি ছিলেন?
উত্তরঃ ইমাম মালিক রাঃ 'তাবেয়ী' ছিলেন।

২৩) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে আমর এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ এদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাসূলুল্লাহ সাঃ এর একজন সাহাবা এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উমর একজন সাহাবী।

২৪) ওআইসি এর সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তরঃ ওআইসি এর সদর দপ্তর জেদ্দায়।

২৫) বর্তমানে হিজরী সন কত চলছে?
উত্তরঃ প্রতি বছর হিজরী সন পরিবর্তন হয় তাই আপনারা এটা দেখে যাবেন।

২৬) কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম কি?
উত্তরঃ কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম হচ্ছে- সূরা কাওসার।

২৭) কোরআনের সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ সূরা বাকারার ২৮২ নম্বর আয়াত সবচেয়ে বড় আয়াত।

২৮) মানবজাতির মধ্যে হত্যাকাণ্ডের প্রচলন কে করেছিলেন?
উত্তরঃ মানবজাতির মধ্যে সর্বপ্রথম হত্যাকাণ্ডের প্রচলন শুরু করেছিলেন কাবিল।

২৯) ইসলামের সর্বপ্রথম মুয়াজ্জিন কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ বিলাল রাদিয়াল্লাহু তাআলাকে ইসলামের সর্বপ্রথম মুয়াজ্জিন বলা হয়।

৩০) কয়টি উটের যাকাত ফরজ?
উত্তরঃ ৫টি উটের যাকাত ফরজ।

৩১) মুতা অভিযান কার নেতৃত্বে পরিচালনা হয়েছিল?
উত্তরঃ মুতা অভিযান যায়েদ বিন হারেসের নেতৃত্বে পরিচালনা হয়েছিল।

৩২) মুতা অভিযানে মুজাহিদ সংখ্যা কতজন ছিল? 
উত্তরঃ মুতা অভিযানে মুজাহিদ সংখ্যা কতজন ছিল ৩০০০ জন।

৩৩) মুতা যুদ্ধে কোন তিনজন সেনাপতি পরপর শহীদ হয়েছিলেন?
উত্তরঃ মুতা যুদ্ধে যায়েদ বিন হারেসা, জাফর বিন আবু তালিব ও আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা এই তিনজন সেনাপতি পরপর শহীদ হয়েছিলেন।

৩৪) মুতা যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদের হাতে কত খানা তরবারি ভেঙেছিল?
উত্তরঃ মুতা যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদের হাতে আটখানা তরবারি ভেঙেছিল।

৩৫) কয়টি গরুতে যাকাত দেওয়া ফরজ?
উত্তরঃ ৪০টি গরু থাকলে যাকাত দেওয়া ফরজ।

৩৬) দুনিয়ায় থাকতেই জান্নাতে যাওয়ার সুসংবাদ পেয়েছেন কতজন সাহাবী?
উত্তরঃ দুনিয়ায় থাকতেই জান্নাতে যাওয়ার সুসংবাদ পেয়েছেন দশজন সাহাবী।

৩৭) মুতা অভিযানের পর রোমানরা কি পরিকল্পনা করেছিল?
উত্তরঃ মুতা অভিযানের পর রোমানরা মদিনা আক্রমণেরপরিকল্পনা করেছিল।

৩৮) জাহান্নামে কাদের সংখ্যা বেশি হবে?
উত্তরঃ জাহান্নামে নারীদের সংখ্যা বেশি হবে।

৩৯) পুরো পৃথিবী শাসন করেছেন কোন দুই মুসলিম বাদশা?
উত্তরঃ সোলাইমান আঃ ও জুলকারনাইন এই দুইজন মুসলিম বাদশা পুরো পৃথিবী শাসন করেছেন।

৪০) কোন সাহাবী হিজরী সনের গণনা প্রবর্তন করেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা হিজরী সনের গণনা প্রবর্তন করেছিলেন।

৪১) ঈমানের কতটি শাখা রয়েছে?
উত্তরঃ ঈমানের সত্তর চেয়েও অধিক শাখা রয়েছে।

৪২) বিদআত কাকে বলে?
উত্তরঃ ইবাদতের নামকরণ করে নতুন কোন কিছু তৈরি বা সৃষ্টি করাকে বলা হয় বিদআত।

৪৩) জান্নাতে মানুষের বয়স কত থাকবে?
উত্তরঃ জান্নাতে সকল মানুষের বয়স ৩৩ থাকবে।

৪৪) শয়নকালে কোন তিনটি সূরা পড়া অধিক ফজিলতপূর্ণ?
উত্তরঃ শয়নকালে সূরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়া অধিক ফজিলতপূর্ণ।

৪৫) মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে পার্থক্যকারী ইবাদতের নাম কি?
উত্তরঃ মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে পার্থক্যকারী ইবাদতের নাম হচ্ছে- সালাত বা নামায।

৪৬) জাহান্নামের সবচেয়ে কম আযাব কার হবে?
উত্তরঃ নবী সাল্লাল্লাহু আঃ এর চাচা আবু তালিবের সবচেয়ে কম আযাব হবে জাহান্নামে।

৪৭) জাহান্নামের দারোগার নাম কি হবে?
উত্তরঃ জাহান্নামের দারোগার নাম হবে মালিক।

৪৮) কুরআনুল কারীমের সর্বপ্রথম আদেশ কোনটি?
উত্তরঃ কুরআনের সর্বপ্রথম আদেশ পড়।

৪৯) ঘরে যদি শয়তান থাকে তাহলে কোন সূরা পাঠ করলে সেই শয়তান পালায়ন করে?
উত্তরঃ সূর বাক্বারা পাঠ করলে ঘর হতে শয়তান পালায়ন করে।

৫০) কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদা পূর্ণ আয়ত্ত হচ্ছে সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত।

শেষ ৩৮ টি ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন

Islamic-studies-viva-questions-and-answers
১) কুরআনে কতজন নবীর নাম রয়েছে?
উত্তরঃ কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ রয়েছে।

২) রমজান মাসের রোজা কত হিজরীতে ফরজ হয়েছে?
উত্তরঃ রমজান মাসের রোজা ২ হিজরিতে ফরজ হয়েছিল।

৩) ফেরেশতারা কোন সাহাবীর গোসল দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ফেরেশতারা হানযালা সাহাবীর গোসল দিয়েছিলেন।

৪) আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তা ভাবলে সেটা কি গুনাহ?
উত্তরঃ আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে যদি সৃষ্টিকর্তা ভাবা হয় তাহলে সেটা হবে শিরক।

৫) মদিনার সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হয়েছিলেন কে?
উত্তরঃ মদিনার সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হয়েছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ।

৬) সারিয়ার সংখ্যা কয়টি?
উত্তরঃ সারিয়ার সংখ্যা ৪৩ টি।

৭) আবু জেহেলের নেতৃত্বে কতজন সৈনিক মিলে মদীনা আক্রমণে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ আবু জেহেলের নেতৃত্বে নয়শ পদাতিক ও একশ অশ্বারোহী সৈনিক মিলে মদিনা আক্রমণে গিয়েছিলেন।

৮) বদর কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মদীনা থেকে প্রায় ৮০ মাইল দক্ষিনে বন্দর অবস্থিত।

৯) বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কত সালে?
উত্তরঃ বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান অর্থাৎ ১৬ জানুয়ারি ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ।

১০) বদরের যুদ্ধের সময় কতজন কুরাইশ বন্দী ছিলেন?
উত্তরঃ বদরের যুদ্ধে ৭০ জন কুরাইশ বন্দি ছিলেন।

১১) বদরের যুদ্ধের সময় কতজন কুরাইশ মারা গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ বদরের যুদ্ধের সময় ৭০ জন কুরাইশ মারা গিয়েছিলেন।

১২) আবু জেহেল কোন যুদ্ধের সময় নিহত হয়েছিলেন?
উত্তরঃ আবু জেহেল বদর যুদ্ধের সময় নিহত হয়েছিলেন।

১৩) মুসলমানদের বিশ্বজয়ের প্রতিধ্বনি সূচনা হয়েছিল কোন যুদ্ধে?
উত্তরঃ মুসলমানদের বিশ্বজয়ের প্রতিধ্বনি সূচনা হয়েছিল বদর যুদ্ধে।

১৪) ইসলামী জগতের প্রথম সংবিধান কোনটি?
উত্তরঃ ইসলামী জগতের প্রথম সংবিধান বলা হয় মদিনা সনদকে।

১৫) মহানবী যেসব অভিযানে নিযুক্ত বা উপস্থিত ছিলেন সেগুলোর মধ্যে কয়টিতে যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তরঃ মহানবী যেসব অভিযানে নিযুক্ত বা উপস্থিত ছিলেন সেগুলোর মধ্যে ৯ টিতে যুদ্ধ হয়েছিল।

১৬) ছোট ছোট অভিযানকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ ছোট ছোট অভিধান গুলোকে বলা হয় সারিয়াহ।

১৭) উহুদের যুদ্ধে হযরত হামজা সহ আরো কতজন শহীদ হয়েছিলেন?
উত্তরঃ উহুদের যুদ্ধে হযরত হামজা সহ আরো সত্তর জন শহীদ হয়েছিলেন।

১৮) কুরাইশরা খন্দকের যুদ্ধের সময় কত দিন অবস্থান করেছিল?
উত্তরঃ কুরাইশরা খন্দকের যুদ্ধের সময় ২১ দিন অবস্থান করেছিল।

১৯) বদর যুদ্ধে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বন্দিদের কি শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তরঃ বদর যুদ্ধে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন।

২০) মুহাজিরীন কারা?
উত্তরঃ মক্কার বাস্তুত্যাগী মুসলমানগণ হচ্ছে মুহাজিরীন।

২১) বর্বর কুরাইশ নারীরা কিভাবে উহুদদের যুদ্ধে বীভৎসতার পরিচয় দিয়েছিল?
উত্তরঃ বর্বর কুরাইশ নারীরা উহুদদের যুদ্ধে মুসলিম শহীদদের কর্ণ ও নাসিকা ছেদন করে মালা গেঁথেছিল এবং এভাবেই তারা বীভৎসতার পরিচয় দিয়েছিল।

২২) মহানবী সাঃ কখন খায়বার অভিযানে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ৬২৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে মহানবী সাঃ কখন খায়বার অভিযানে গিয়েছিলেন।

২৩) কোন যুদ্ধে মুজাহিদদের সাহায্যের জন্য কয়েকজন রমণী যোগদান করেছিলেন?
খায়বার যুদ্ধে মুজাহিদদের সাহায্যের জন্য কয়েকজন রমণী যোগদান করেছিলেন।

২৪) মুতা অভিযান কবে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ মুতা অভিযান ৬২৯ খ্রিস্টাব্দ বা ৮ হিজরী সংঘটিত হয়েছিল।

২৫) মুতা অভিযানে প্রথম সেনাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ মুতা অভিযানে প্রথম সেনাপতি ছিলেন- যায়েদ বিন হারেসা।

২৬) কোন সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির পর থেকে মক্কা বিজয়ী হওয়া পর্যন্ত সময়ে বেশি সংখ্যক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।

২৭) মক্কা অভিযান করার সময় হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সৈন্য সংখ্যা কতজন ছিল?
উত্তরঃ মক্কা অভিযান করার সময় হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রায় দশ হাজার সৈন্য সংখ্যা ছিল।

২৮) মহানবীর মক্কা অভিযান কখন হয়েছিল?
উত্তরঃ মহানবীর মক্কা অভিযান হয়েছিল অষ্টম হিজরী দশম রমজান যা ১ জানুয়ারি ৬৩০ খ্রিস্টাব্দ।

২৯) হুনাইনের যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের কতটি মেষ মুসলমানদের কাছে হস্তগত হয়েছিল?
উত্তরঃ হুনাইনের যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের ৪০ হাজার মেষ মুসলমানদের কাছে হস্তগত হয়েছিল।

৩০) তাবুক অভিযান কবে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ তাবুক অভিযান ৬৩০ খ্রিস্টাব্দ অর্থাৎ নবম হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল।

৩১) মহানবীর সকল কাজ কিসের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছিল?
উত্তরঃ মহানবীর সকল কাজ ওহীর মাধ্যমে সম্পাদিত হত।

৩২) হুজ্জাতুল বিদা কি?
উত্তরঃ হুজ্জাতুল বিদা হচ্ছে- মহানবীর জীবনের শেষ হজ্জ্ব।

৩৩) মহানবী সাঃ এর শিক্ষক কে ছিলেন?
উত্তরঃ মহানবী সাঃ এর শিক্ষক ছিলেন মহান আল্লাহতালা।

৩৪) খাতামুন নাবিয়্যন কে?
উত্তরঃ খাতামুন নাবিয়্যন হচ্ছে- বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ।

৩৫) হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসূল সাঃ এর সাথে কয়জন সাহাবী গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসূল সাঃ এর সাথে ১৪ শত সাহাবী গিয়েছিলেন।

৩৬) হুদায়বিয়া কিসের নাম?
উত্তরঃ হুদায়বিয়া একটি কূপের নাম।

৩৭) খোলাফায়ে রাশেদীন শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ খোলাফায়ে রাশেদীন শব্দের অর্থ হচ্ছে- ন্যায়পরায়ণ ও সঠিকভাবে পথনির্দেশ প্রাপ্ত খলিফা।

৩৮) খোলাফায়ে রাশেদীন কাকে বলে?
উত্তরঃ আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মৃত্যুবরণ করার পর যে চার খলিফা ইসলামী বিশ্ব শাসন করেছিলেন তাদেরকে বলা হয় খোলাফায়ে রাশেদীন।

FAQs

প্রশ্নঃ ইসলামিক স্টাডিজ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ যে বিষয়ে ইসলামের সমস্ত মৌলিক বিষয় সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়া কোরআন এবং হাদিসের আলোকে জীবনের পথপ্রদর্শক হিসেবে শিক্ষা দেওয়া হয়। এছাড়াও ইসলাম ধর্মের সমস্ত পটোভূমি আলোচনা করা হয় তাকেই বলা হয় ইসলামিক স্টাডিজ।

প্রশ্নঃ ইসলামিক স্টাডিজ অর্থ কি?
উত্তরঃ ইসলামিক স্টাডিজ অর্থ হচ্ছে- ইসলামিক স্টাডিজ একটি সাবজেক্টের নাম। এই সাবজেক্টে ইসলামিক বিষয়ে পড়াশোনা করানো হয়।

প্রশ্নঃ ইসলামিক স্টাডিজ এ মাস্টার্স করে কি কি করা যায়?
উত্তরঃ ইসলামিক স্টাডিস এই সাবজেক্টে মাস্টার্স করে আপনি যেকোনো ধরনের সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনি প্রাইমারি শিক্ষক হতে পারবেন বা মাধ্যমিক স্কুলের প্রভাষক হতে পারবেন ইত্যাদি।

শেষ আলোচনা

ইসলামিক স্টাডিজ ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে এই ছিল আজকের আলোচনা। আমি আশা করছি আপনাদের এই আর্টিকেল থেকে অনেক উপকার করতে পেরেছি। ভাইভা প্রস্তুতি নিতে হলে সংক্ষিপ্ত বেসিক প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করে যেতে হবে। কারণ ভাইভা বোর্ডে অনেক গভীর থেকে প্রশ্ন করবে না।

Share This Post ...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url