গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট | গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট
মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট অনুসরন করে, মা ও
শিশুর সঠিক ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা জরুরি। গর্ভকালীন সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার
মাধ্যমে শারীরিক জটিলতা কমানো যায়। একইভাবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট
দেখে শিশুর বৃদ্ধি কেমন হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করা সহজ হয়।
মাস অনুযায়ী ওজন পরিবর্তন স্বাভাবিক একটি বিষয়। তাই মা ও গর্ভের শিশুর
জন্য সঠিক পুষ্টি ও যত্ন প্রয়োজন। এজন্য গর্ভাবস্থায় সুস্থতা নিশ্চিত করতে এই
আর্টিকেলের ওজন চার্ট অনুসরণ করুন।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট | গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট
এ আর্টিকেল থেকে আপনি যে সমস্ত তথ্য গুলো পাবেন তা এক নজরে দেখে নিন-
- ভূমিকা
- গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট
- গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট
- গর্ভাবস্থায় খাবারের সময়সূচী
- গর্ভাবস্থায় খাবার নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
- গর্ভাবস্থায় মা ও বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলা বিষয়
- গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সঠিক উপায়
- গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ধাপে শিশুর গঠন
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ ও করণীয় পদক্ষেপ
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়ার কারণ ও করণীয় পদক্ষেপ
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণসমূহ
- গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা
- FAQs
- উপসংহার
ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মায়ের ও
শিশুর সুস্থতার জন্য সহায়ক। সঠিক ওজন বৃদ্ধির মাত্রা নির্ভর করে মায়ের BMI ও
গর্ভকালীন ধাপের ওপর। সাধারণত, গর্ভকালীন ১১ থেকে ১৬ কেজি ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক
বলে ধরা হয়।
তবে কারো কারো ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে দশ কেজি ওজন বৃদ্ধি দেখা যায়। গর্ভাবস্থায়
ওজন ঠিক রাখা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম
জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন পর্যবেক্ষণ গর্ভাবস্থার জটিলতা কমাতে
সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট অনুসারে প্রতিটি মাসে শিশুর বৃদ্ধি নির্ধারিত
হয়। প্রথম ত্রৈমাসিকে বা তিন মাসে বাচ্চার ওজন ১-১৪ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা প্রায় ২.৫ থেকে ৩.৫ কেজি
পর্যন্ত হতে পারে।
এজন্য সঠিক পুষ্টি ও চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করলে শিশুর ওজন আদর্শ মাত্রায়
থাকে। তাই সুস্থ গর্ভাবস্থার জন্য বাচ্চার ওজন চার্ট অনুসরণ করা জরুরি।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট বিস্তারিত আলোচনা
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
গর্ভাবস্থাকালীন সময়ে মায়ের ও শিশুর সুস্থতার জন্য এটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েদের এই সময় ওজন বৃদ্ধি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করার জন্য
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমরা প্রথমে আমরা আলোচনা করব
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট নিয়ে, যা মায়ের ওজন বৃদ্ধির সঠিক পরিমাণ এবং
সময় নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা, ডায়েট মেনে
খাবার খাওয়া এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি নির্ভর করে তার শারীরিক অবস্থা, ডায়েট এবং
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক বিষয়ের উপর। সাধারণত, গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন
বাড়ানোর জন্য সময়কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমনঃ
- প্রথম তিন মাস বা প্রথম ত্রৈমাসিক (০-১২ সপ্তাহ)
- দ্বিতীয় তিন মাস বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (১৩-২৬ সপ্তাহ)
- তৃতীয় বা শেষ তিন মাস বা শেষ ত্রৈমাসিক (২৭-৪০ সপ্তাহ)
প্রথম ত্রৈমাসিক (০-১২ সপ্তাহ): প্রথম ত্রৈমাসিকে গর্ভবতী মায়ের ওজন
খুব বেশি বাড়ে না। এই সময় এক থেকে দুই কেজি ওজন বাড়তে বাড়ে। তবে সব সময়ই
এক থেকে দুই কেজি ওজন বাড়বে এটা ভুল ধারণা কারণ কিছু কিছু মায়ের ক্ষেত্রে
এটির তারতম্য হতে পারে। কারণ এই সময় কিছু কিছু মেয়ের সকালে বমি হওয়ার ভাব
বেশি থাকে, আবার কিছু কিছু মেয়ের বমি হওয়ার ভাব কম থাকে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (১৩-২৬ সপ্তাহ): দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গর্ভবতী
মায়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এবং এই পর্যায়ে এসে ওজন একটু বেশি
হারে বাড়তে থাকে। এই সময় লক্ষ্য করা যায় যে মায়ের ওজন ৪ কেজি থেকে ৫ কেজি
পর্যন্ত বাড়তে পারে। যেহেতু এই সময় গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি শুরু হতে থাকে
সেহেতু এই সময় মায়ের শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি ও পুষ্টি গ্রহণ করতে
থাকে। এর ফলে গর্ভবতী মায়ের ওজন বাড়তে থাকে।
তৃতীয় ত্রৈমাসিক (২৭-৪০ সপ্তাহ): গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসে মায়ের
ওজন বাড়ার হার আরো কিছুটা বেড়ে যায় কারণ এই সময়ে বাচ্চা গর্ভের মধ্যে বড়
হতে থাকে। লক্ষ্য করা গেছে এই সময় অধিকাংশ মায়ের ওজন ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত
বেড়ে যায়। এই সময় আরো লক্ষ করা গেছে যে, শিশুর দ্রুত বৃদ্ধির জন্য এবং
অন্যান্য শারীরিক পরিবর্তনের জন্য গর্ভবতী মায়ের শরীরে চর্বি জমা হয়।
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
উপাদান | খাবার তালিকা |
---|---|
প্রোটিন | ডিম, মাংস, মাছ, টোফু, দই |
শাকসবজি | পালং শাক, গাজর, মিষ্টি আলু |
ফলমূল | আপেল, কলা, কমলা, আম |
পানি | প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন |
কার্বোহাইড্রেট | ভাত, রুটি, পাটালি খই, আলু |
উপাদান | খাবার তালিকা |
---|---|
প্রোটিন | মুরগি, মাংস, মাছ, ডাল, পনির |
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার | গাজর, কিউই, স্ট্রবেরি, পালং শাক |
শাকসবজি ও ফল | ব্রকলি, টমেটো, মিষ্টি আলু, আপেল, আঙুর |
সুস্বাদু স্ন্যাকস | বাদাম, চিঁড়া, দই |
কার্বোহাইড্রেট | সাদা ভাত, রুটি, মিষ্টি কুমড়া, চিঁড়া |
উপাদান | খাবার তালিকা |
---|---|
প্রোটিন | মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, পনির |
ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার | পালং শাক, টমেটো, অরেঞ্জ |
শাকসবজি | মিষ্টি আলু, গাজর, ব্রকলি, শাক |
ফলমূল | কলা, আপেল, আঙুর, পেঁপে |
কার্বোহাইড্রেট | ভাত, রুটি, পাঁপড়, সেমাই |
এই টেবিলটির মাধ্যমে আপনারা গর্ভাবস্থায় তিনটি ত্রৈমাসিকের একটি সুষম খাদ্য
তালিকা পেয়ে যাচ্ছেন, যা মায়ের এবং শিশুর সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি
সরবরাহ করবে।
- প্রোটিনঃ প্রোটিন গর্ভের বাচ্চার মাংসপেশি ও অঙ্গ পতঙ্গের বিকাশ ঘটায়
- শাকসবজি ও ফলমূলঃ গর্ভাবস্থায় শাকসবজি ও ফলমূল খেলে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া যায়।
- কার্বোহাইড্রেটঃ শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় দুর্বল অনুভব করেন তাহলে আপনাকে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেয়ে শক্তি বাড়াতে হবে।
- চর্বিঃ চর্বি জাতীয় খাবার শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
- ভিটামিন ও খনিজঃ গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ও খনিজ খেলে শিশুর সঠিক বিকাশ হয়। যেমনঃ আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফলিক এসিড।
- পানিঃ গর্ভবতী কালীন সময়ে শরীরকে পুরোপুরি হাইড্রেট রাখতে হবে। এটি গর্ভের শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া গর্ব অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের ফ্লুইড লেভেল ঠিক থাকে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট বিস্তারিত আলোচনা
গর্ভাবস্থায় একটি বাচ্চা এবং মায়ের ভালো থাকার জন্য, বাচ্চার ওজন সঠিকভাবে
মনিটর করা প্রয়োজন। জন্মের পরে শিশুর সুস্থতায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই এখন আমি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজনের চার্ট সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা
করব।
আমরা পূর্বেই জেনেছি গর্ভাবস্থায়ী তিনটি ত্রৈমাসিক সম্পন্ন করতে হয়।
প্রতিটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির হার আলাদা হয়ে থাকে।
প্রথম ত্রৈমাসিক (০-১২ সপ্তাহ): গর্ভাবস্থা কালীন সময়ে পেটের
বাচ্চার ওজন খুব আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এই সময় বাচ্চার ওজন গড়ে ০.৫-১
কেজি হতে পারে। তবে এই সময় গর্ভবতী মায়েরা অনুভব করতে পারেন না যে তাদের
গর্ভে বাচ্চা বড় হচ্ছে।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (১৩-২৬ সপ্তাহ): গর্ভাবসাকালেন এই সময়ে বাচ্চার
শরীর একটু বেশি বাড়তে শুরু করে। জেনে রাখুন এই সময়ে বাচ্চার ওজন ২০৫-৪৫০
গ্রাম থেকে প্রায় ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই সময়ে মায়েরা গর্ভের
ভেতরে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করতে পারে।
তৃতীয় ত্রৈমাসিক (২৭-৪০ সপ্তাহ): গর্ভাবস্থার শেষ সময়ে বাচ্চার ওজন
খুব দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই সময়ে গর্ভে থাকা বাচ্চার ওজন প্রায়
২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজি বা তারও বেশি হতে পারে। এই সময়ে বাচ্চার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
ও শরীর প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হয় এবং প্রস্তুত হয় পৃথিবীতে আসার জন্য।
বাচ্চার সুস্থ ওজন বৃদ্ধির জন্য মায়ের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করা
উচিত। যেমনঃ
টিপস | * | * |
---|---|---|
পুষ্টিকর খাদ্যঃ | প্রোটিন, শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, দুধ এবং শস্য জাতীয় খাবার | গর্ভাবস্থায় সুষম খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
রেগুলার চেক-আপঃ | নিয়মিত ডাক্তারী পরামর্শ ও আলট্রাসাউন্ড | গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে |
হালকা হাঁটাহাঁটিঃ | সঠিকভাবে বাচ্চা বৃদ্ধি | বাচ্চার ওজনের ভারসাম্য রক্ষা |
পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাস্থ্যকর ডায়েট, নিয়মিত চেক-আপ এবং হালকা সঠিক ব্যায়াম
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার সঠিক ওজন বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাই এই চার্ট অনুযায়ী
বাচ্চার ওজন নিয়মিত মনিটরিং করে, গর্ভাবস্থার পুরো সময় গর্ভবতী মা-শিশুকে সুস্থ
ও নিরাপদ রাখুন।
গর্ভাবস্থায় খাবারের সময়সূচী
গর্ভাবস্থায় সঠিক খাবারের সঠিক সময় নির্বাচন করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমি
এখন গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য খাবারের সময়সূচী তুলে ধরলাম।
সময় | খাদ্য তালিকা |
---|---|
সকাল | ডিম ও শাকসবজি দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ, ফলমূল ও স্যালাড। প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ নাশতা। |
মধ্যাহ্নভোজ | ভাত, ডাল, মাংস বা মাছ, সবুজ শাক, সবজি ইত্যাদি। |
বিকেল | হালকা স্ন্যাকস। যেমনঃ বাদাম, দই, ফল ইত্যাদি। |
রাতের খাবার | সুষম খাবার, শাকসবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। |
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
- আয়োডিনঃ আমরা জানি আয়োডিনের অভাবে বাচ্চাদের শারীরিক প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি হয়। তাই আয়োডিন আমাদের শরীরে গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় খাবার নির্বাচনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
গর্ভাবস্থায় খাবার নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনেক কারণ এটির
উপরেই নির্ভর করে মা ও শিশুর সুস্থতা। গর্ভবতী মেয়েরা যখন পুষ্টিকর ও সুষম
খাবার গ্রহণ করে তখন তার নিজের স্বাস্থ্য ও শিশুর স্বাস্থ্য উভয়ই ভালো
রাখতে সহায়তা করে। ভালো ও সঠিক ফলাফল পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই গর্ভকালীন
সময়ে সঠিক খাবারের চার্ট গ্রহণ করতে হবে।
স্বাভাবিক সময়ে খাবার নির্বাচন এবং গর্ভাবস্থায় মেয়েদের খাবার নির্বাচন
একই রকম হওয়া উচিত নয়। কারণ গর্ভাবস্থায় মা এবং বাচ্চার পুষ্টি একে
অপরের সাথে যুক্ত থাকে। এই সময় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান গ্রহণ করলে
শিশুর বৃদ্ধি ভালো হয় এবং সুস্থ সাবলীল বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। সঠিক
খাবারের অভাবে মায়ের শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিলে বাচ্চার স্বাস্থ্যেও এর
প্রভাব পড়বে।
গর্ভাবস্থায় মা ও বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলা বিষয়
মায়ের পূর্ববর্তী কালীন স্বাস্থ্য সমস্যা: যদি গর্ভাবস্থায় আগেই কোন
মায়ের পূর্ববর্তী কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে সে ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায়
মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
অল্প ওজন (Low Birth Weight): যদি গর্ভে বাচ্চার ওজন
স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে তাহলে সেই বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অতিরিক্ত ওজন (High Birth Weight): গর্ভে বাচ্চার অল্প ওজন বা
অতিরিক্ত ওজন কোনটি ভালো নয়। যদি কোন বাচ্চার ওজন অতিরিক্ত হয়ে যায়
তাহলে জন্মের সময় ডেলিভারি হতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও
ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস বা স্থূলতা ঝুঁকি হতে পারে।
চিনি ও অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার: এই সময় তিনিও অতিরিক্ত
চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে
পুষ্টি এবং ক্যালোরির অভাব: শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি ও
ক্যালোরের অভাব হলে গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
বহিরাগত পরিবেশ: মায়েদের মানসিক চাপ পারিবারিক অশান্তি এবং
অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কারণেও গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধিতে সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়া: গর্ভাবস্থায় সবসময় চেষ্টা করতে হবে
একটুও কম মিষ্টি খাওয়ার কারণ এতে করে শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
থাকে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ: গর্ভে বাচ্চা থাকাকালীন সময়ে ধূমপান
ও অ্যালকোহল গ্রহণ করলে আপনার এবং বাচ্চার উভয়েরই জন্য বিপদজনক। এছাড়া
আশেপাশের লোকজন ধূমপান করলেও আপনার গর্ভের বাচ্চার সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সঠিক উপায়
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বৃদ্ধি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কিছু সাধারণ নিয়ম
মেনে চলা উচিত। যেমনঃ
সঠিক খাবার খাওয়া: গর্ভবতী মেয়েদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায়
অবশ্যই সুষম খাদ্য রাখতে হবে। যেমন শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন ইত্যাদি।
প্রতিরোধমূলক পরীক্ষা: গর্ভাবস্থায় আপনার স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে তা
অবশ্যই প্রতিনিয়ত ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেক করতে হবে, নিয়মিত স্বাস্থ্য
পরীক্ষা ও ওজন মনিটর করতে হবে। এভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন সঠিক থাকবে।
হাঁটাহাঁটি ও যোগব্যায়াম: গর্ভাবস্থায় আপনি হালকা হাঁটাহাঁটি করবেন
এবং যোগব্যায়াম করবেন তাহলে গর্ভাবস্থায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
গর্ভাবস্থার বিভিন্ন ধাপে শিশুর গঠন
সপ্তাহ | শিশুর গঠন কার্যকালাপ |
---|---|
৪ | গর্ভের শিশুর হৃদপিণ্ড গঠন ও হার্টবিট শুরু হয়। |
৮ | হাত-পা, চোখ, কান, নাকের গঠন স্পষ্ট হয়। |
১২ | সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয় ও কাজ করতে শুরু করে। |
সপ্তাহ | শিশুর গঠন ও কার্যকালাপ |
---|---|
১৬ | হাত-পায়ের আঙুল পরিপূর্ণ হয় ও লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। |
২০ | শিশু নড়াচড়া করে যা মা বুঝতে পারে। |
২৪ | ফুসফুস এবং স্নায়ুতন্ত্র আরও বিকশিত হয়। |
সপ্তাহ | শিশুর গঠন ও কার্যকালাপ |
---|---|
৩০-৩৫ | দ্রুত ওজন বাড়ে ও শরীরের গঠন পরিপূর্ণ হতে থাকে। |
৩৭-৪০ | শিশু জন্ম নেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়। |
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ ও করণীয় পদক্ষেপ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা কিন্তু নিয়মিত
চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হলে এটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কমে যাওয়ার প্রধান প্রধান কিছু কারণ গুলো
হলো-
- অপুষ্টি
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ
- ধূমপান
- উচ্চ রক্তচাপ
অনেক সময় প্রসব পূর্ব ইনফেকশন কিংবা গর্ভস্থ জটিলতা থেকেও এমনটি হতে পারে।
করণীয়ঃ
এই সমস্যা প্রতিরোধে গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং
আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে
নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত যাতে বাচ্চার বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা যায়।
বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অর্থাৎ
প্রতিদিন বিশ্রাম এবং টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। আপনি যদি গর্ভাবস্থায়
বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ ও করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন থাকেন, তবে
সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়ার কারণ ও করণীয় পদক্ষেপ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়া অনেক সময় মা ও শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ
হতে পারে। এই সময় বাচ্চার ওজন বেশি হওয়ার প্রধান কারণগুলো হচ্ছে-
- অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ
- অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ লেভেল
- গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস
এছাড়া পরিবারে যদি জেনেটিক ভাবেই এই সমস্যার প্রবণতা থাকে তাহলেও এটি হতে
পারে।
করণীয়ঃ
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান মেনে চলা
গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং প্রতিদিন হালকা
হাটাহাটি করা এই সময় মা ও শিশু উভয়ের জন্য উপকারী হতে পারে। প্রসবের আগে
নিয়মিত আলট্রাসাউন্ড ও চেকআপ করলে শিশুর ওজন পর্যবেক্ষণ করা
যাই।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে সিজারিয়ান ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়ে, তাই
আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আপনি যদি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন বেশি
হওয়ার কারণ ও করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন থাকেন, তাহলে নিরাপদ গর্ভকালীন
সময় নিশ্চিত করা সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হার্টবিট আসার লক্ষণসমূহ
ধাপ/সময় | সম্ভাব্য লক্ষণ | ব্যাখ্যা |
---|---|---|
৪-৬ সপ্তাহ | হালকা পেট ব্যথা বা টান টান অনুভব | গর্ভের ভিতরে বাচ্চার অঙ্গ তৈরি শুরু হয়, হার্টের গঠন শুরু হয় |
৬.৫-৭ সপ্তাহে | আল্ট্রাসাউন্ডে হার্টবিট দেখা/শোনা যায় | ট্রান্সভ্যাজিনাল আল্ট্রাসাউন্ডে প্রথম হার্টবিট সাধারণত ধরা পড়ে |
৮-৯ সপ্তাহ | বমিভাব, ক্লান্তি বেড়ে যাওয়া | হরমোনের কারণে শরীরে পরিবর্তন বাড়ে, হার্ট কাজ করা শুরু করে |
১০-১২ সপ্তাহ | ডপলার যন্ত্রে হার্টবিট শোনা যায় | এই সময়ে বাইরের যন্ত্র দিয়েও বাচ্চার হার্টবিট শোনা সম্ভব |
১২ সপ্তাহের পর | পেটের আকার একটু একটু করে বেড়ে যাওয়া | বাচ্চার বৃদ্ধি এবং রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বাড়ে, হার্ট আরও নিয়মিত কাজ করে |
* ৪-৫ সপ্তাহে হৃদপিণ্ডের গঠন শুরু হয়। এই সময় ভ্রূণের প্রাথমিক হৃদপিণ্ড (cardiac tube) তৈরি হয়, কিন্তু এটা এখনো স্পন্দিত হয় না।
* ৫.৫-৬ সপ্তাহে প্রথম হার্টবিট তৈরি হতে শুরু করে। মাইক্রোস্কোপিকভাবে খুব দুর্বল “স্পন্দন” শুরু হতে পারে, যা সাধারণ আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা যায় না
* ৬.৫-৭ সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ডে হার্টবিট দেখা/শোনা যায়। এটাই মেডিকেলভাবে "হার্টবিট শনাক্ত" হওয়া বলে ধরা হয়।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবেনা
১) পুরনো আলুতে solanine নামে টক্সিন থাকে, যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকর
হতে পারে। তবে তাজা আলু খাওয়া নিরাপদ।
২) কাঁচা বাঁধাকপি/ফুলকপি গ্যাস ও হজম সমস্যার জন্য দায়ী। এটি ভালো করে
রান্না করে অর্থাৎ ভালো করে সিদ্ধ করে খেলে নিরাপদ।
৩) কাঁচা টমেটো বেশি খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যাই তাই এই সময় কাঁচা টমেটো কম
খাবেন।
৪) কাঁচা মুলা খাওয়া নিষেধ কারণ কাঁচা সবজিতে মাটি থেকে আসা toxoplasma বা
listeria থাকতে পারে।
৫) কলমি শাক, বক শাক ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ না করলে ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা
১) অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা পেঁপে খাওয়া যাবেনা। কাঁচা পেঁপেতে papain
এনজাইম থাকে, যা গর্ভাশয়ে সংকোচন ঘটাতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় গর্ভপাতের
ঝুঁকি থাকতে পারে বলা হয়েছে। কাঁচা পেঁপে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
২) অতিরিক্ত কাঁচা আনারসে bromelain থাকে, যা জরায়ুর গ্রন্থি নরম করতে
পারে। তবে খুব বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। মাঝেমাঝে পরিমিত খাওয়া নিরাপদ,
বিশেষ করে দ্বিতীয়/তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে।
৩) যাদের গ্লুকোজ বা হিট সেনসিটিভ সমস্যা আছে তাদের আঙুর বেশি পরিমাণে
খাওয়া যাবে না, পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
৪) খুব বেশি লিচু খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে
(হাইপারগ্লাইসেমিয়া), আর ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে তাই
পরিমিত পরিমাণে লিচু খাবেন।
৫) অতিরিক্ত ভিটামিন C শরীরে হরমোন ইমব্যালান্স করতে পারে তাই তেতুল অল্প
করে খাবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ গর্ভাবস্থায় পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া বেশি খাওয়া
উচিত নয়।
FAQs
১) কত সপ্তাহে বাচ্চা গঠন শেষ হয়?
উত্তরঃ শিশু গর্ভে থাকাকালীন সময়ে প্রথম ট্রাইমেস্টার বা ১২ সপ্তাহের
মধ্যেই প্রধান প্রধান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন কার্য শুরু হয়। সবশেষে ৩৭ থেকে
৪০ সপ্তাহ বা ৯ মাসে বাচ্চার গঠন হওয়ার কাজ সমাপ্ত হয়।
২) পেটে বাচ্চা মারা যাওয়ার লক্ষণ কী কী?
উত্তরঃ ২০ সপ্তাহের পর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া, পেটে
ব্যথা হওয়া বা পেট ভারী অনুভূতি, গর্ভকালীন সময়ে উপসর্গসমূহ হঠাৎ
কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণ বা ফ্লুইড বের হওয়া।
৩) মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়?
উত্তরঃ মাসিক মিস হওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিশ্চিত
হওয়া যায়, তবে ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতরে যদি কোন প্রেগনেন্সি টেস্ট নিশ্চিত
হওয়া না যায় তাহলে ১৪ দিন পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। তাহলে আপনি
একদম সর্বশেষ পরিপূর্ণ রেজাল্ট পাবেন।
৪) প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর বমি হয়?
উত্তরঃ সাধারণত গর্ভধারণের ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ পর বমি বা মর্নিং সিকনেস শুরু
হতে পারে। তবে ১২-১৬ সপ্তাহ পর বমি বা মর্নিং সিকনেস কমে যেতে শুরু
করে।
উপসংহার
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট অনুসরণ করা মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে গর্ভকালীন জটিলতা এড়ানো সম্ভব। সঠিক
খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
গর্ভাবস্থায় সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ওজন পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য। তাই এই
আর্টিকেলের মায়ের ওজন চার্ট দেখে পরিকল্পিতভাবে গর্ভকালীন যত্ন নিন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট দেখে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়।
মাসিক ওজন বৃদ্ধির ধারা বুঝলে জন্মের সময় শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মায়ের
সুষম খাদ্যাভ্যাস শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
বাচ্চার ওজন পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় ওজন
চার্ট অনুসরণ করুন।