পেটের ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ: গ্যাস্ট্রিক-বমি-কোষ্ঠকাঠিন্য-হজম সমস্যা
পেটের সমস্যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সাধারণ বিষয়। গ্যাস্ট্রিক, গ্যাস, বমি
বা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেক ধরনের ওষুধ আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি
পেটের বিভিন্ন অসুখের কোন জেনেরিক ওষুধ কী কাজে লাগে? এই বিষয়গুলো
সঠিকভাবে জেনে ওষুধ খেলে পেটের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এবং সাইড
ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি পেটের ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ নিয়ে, যাতে
আপনি নিজেই বুঝে নিতে পারেন কোন সমস্যা হলে কী ব্যবহার করা উচিত। পেটের ওষুধের
জেনেরিক নাম জানলে ওষুধ চেনা ও কেনা দুটোই সহজ হয়। তাই এই আর্টিকেলের সম্পূর্ণ
গাইডটি আপনার জন্য হতে পারে অত্যন্ত দরকারি।
সূচিপত্র: পেটের ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ: গ্যাস্ট্রিক-বমি-কোষ্ঠকাঠিন্য-হজম সমস্যা
এই আর্টিকেল থেকে যা যা শিখবেন তা এক নজরে দেখে দিন-
পেটের ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ
প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় আমরা অনেকেই পেটের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকি। যেমনঃ কখনো
গ্যাসের চাপ, কখনো হজমে সমস্যা, কখনো আবার বমি কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এসব
সমস্যা নিরসনে বাজারে পাওয়া যায় নানান ধরনের ওষুধ, কিন্তু আমরা অধিকাংশ
ব্যক্তিরাই জানি না কোন ওষুধটি কি কাজ করে সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ
অথচ এই সকল তথ্যসমূহ জেনে বুঝে ওষুধ সেবন করলে উপকার যেমন দ্রুত মেলে ঠিক তেমনি
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। এজন্যই এখন সময় এসেছে সচেতন হওয়ার এবং নিজের
প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ সম্পর্কে ধারণা রাখার। এই লেখায় আমরা সাধারণ মানুষের
দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছি পেটের ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ, যেন যেকেউ সহজেই
বুঝতে পারে কোন সমস্যা হলে কী করণীয়।
এই অংশে এমন সব ওষুধের জেনেরিক নাম দেওয়া হলো যা আমাদের হজমতন্ত্রের
(Gastrointestinal Tract) বিভিন্ন সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন গ্যাস্ট্রিক,
পেটে গ্যাস, বমি, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, লিভার সমস্যা ইত্যাদি।
চলুন তাহলে আমরা এখন পেটের বিভিন্ন সমস্যার ওষুধের জেনেটিক নাম এবং তাদের
কাজগুলো জেনে আসি-
১. গ্যাস ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ (Antacid)
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের জেনেরিক নাম নিচে দেওয়া হলো। এগুলো পাকস্থলীর অতিরিক্ত
অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে এবং পেটের জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি দূর করে।
- Aluminium Hydroxide + Magnesium Hydroxide
- Magaldrate
- Aluminium Hydroxide Gel + Magnesium Hydroxide + Simethicone
- Magaldrate + Simethicone
- Sodium Alginate + Sodium Bicarbonate + Calcium Carbonate
- Aluminium Hydroxide + Magnesium Hydroxide + Sulphate
ব্যবহার: গ্যাস্ট্রিক, পেট জ্বালা, অম্বল, বুক জ্বালা।
২. আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ (Anti-Ulcerant)
H2 ব্লকার:
- Famotidine
- Ranitidine (এখন অনেক দেশে এটি নিষিদ্ধ)
প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI):
- Omeprazole, Esomeprazole, Pantoprazole, Rabeprazole, Lansoprazole, Dexlansoprazole
নতুন ধরণের এসিড ব্লকার (P-CAB):
- Vonoprazan
সাইটোপ্রোটেকটিভ ওষুধ:
- Sucralfate, Bismuth Subcitrate, Misoprostol
ব্যবহার: আলসার, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালা, এসিডের ক্ষতি থেকে পাকস্থলী
রক্ষা।
৩. পেট ফাঁপা ও গ্যাসের ওষুধ (Anti-Flatulence)
- Simethicone
ব্যবহার: গ্যাসের কারণে পেট ফাঁপা, ঢেঁকুর, অস্বস্তি – এসব কমাতে সহায়তা
করে।
৪. হজমে সহায়ক ওষুধ (Gastroprokinetic)
- Domperidone, Itopride, Levosulpiride, Mosapride
- Ondansetron, Palonosetron (বমি প্রতিরোধেও ব্যবহৃত হয়)
ব্যবহার: হজমে গতি আনা, খাবার পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে পৌঁছাতে সাহায্য
করা।
৫. বমির ওষুধের জেনেরিক নাম (Antiemetic)
- Amisulpride, Metoclopramide
- Ondansetron, Granisetron, Palonosetron
- Domperidone
ব্যবহার: বমি হওয়া বা বমির ভাব কমাতে।
৬. ডায়রিয়ার ওষুধের জেনেরিক নাম (Anti-diarrheal)
- Zinc Sulfate (Elemental Zinc) – বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই জরুরি
- Loperamide, Racecadotril
- Probiotics (যেমন Lactobacillus)
ব্যবহার: পাতলা পায়খানা বন্ধ করা, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা।
৭. অন্ত্রের সংক্রমণের অ্যান্টিবায়োটিক (Rifamycin Analog)
- Rifaximin
ব্যবহার: অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে, IBS-D (irritable bowel
syndrome with diarrhea)-এর চিকিৎসায়।
৮. হজমে সহায়ক এনজাইম (Digestive Enzyme)
- Pancreatin, Diastase + Pepsin, Fungal Diastase, Papain
ব্যবহার: প্রোটিন, চর্বি, শর্করা ভাঙতে সাহায্য করে — খাবার সহজে হজম
হয়।
৯. কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধের জেনেরিক নাম (Laxative)
- Magnesium Hydroxide, Magnesium Hydroxide + Liquid Paraffin
- Lactulose, Macrogol + Electrolytes, Polyethylene Glycol + Electrolytes
- Bisacodyl, Sodium Picosulfate, Senna Extract
ব্যবহার: পায়খানা নরম করে, মলত্যাগ সহজ করে; দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্যে
কার্যকর।
১০. পেট ব্যথা ও খিঁচুনির ওষুধ (Anti-Spasmodic)
- Mebeverine, Tiemonium Methylsulfate, Dicyclomine, Propantheline, Hyoscine
ব্যবহার: পেটের খিঁচুনি, ব্যথা বা IBS-এর সমস্যা কমাতে।
১১. লিভার ও পিত্তাশয়ের ওষুধ (Hepatobiliary Agent)
- Ursodeoxycholic Acid – পিত্তাশয়ের পাথর গলাতে সাহায্য করে।
- Silymarin – লিভার প্রটেকশন।
- Tricholine Citrate + Sorbitol – হেপাটিক টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: লিভার ফাংশন উন্নত করা, লিভার ক্লিনজিং, পিত্তাশয়ের সমস্যা দূর
করা।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল কি
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (Gastrointestinal) শব্দটি মূলত আমাদের শরীরের হজম
ব্যবস্থাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি মুখ থেকে শুরু হয়ে মলদ্বারে গিয়ে শেষ হয়
এবং এর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় হজম, পুষ্টি শোষণ ও বর্জ্য নির্গমনের সম্পূর্ণ
প্রক্রিয়া। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: মুখ, গলা
(pharynx), অন্ননালী (esophagus), পাকস্থলী (stomach), ক্ষুদ্রান্ত্র (small
intestine), বৃহদন্ত্র (large intestine), এবং মলদ্বার (anus)।
আমরা প্রতিদিন যা খাই তা শুধুমাত্র পাকস্থলীতে আটকে থাকে না—খাবার বিভিন্ন ধাপে
বিভিন্ন অঙ্গে গিয়ে ভেঙে যায়, উপাদান বের হয়, শরীর তা শোষণ করে এবং শেষে যা
দরকার নেই তা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। পুরো এই জটিল প্রক্রিয়াটি সুসংবদ্ধ
ভাবে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এটি শুধু হজমের
জন্য নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ এবং শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কি
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বলতে সাধারণত হজমের সিস্টেমের যেকোনো রকম
ব্যাঘাত বোঝানো হয়। এরফলে হতে পারে অস্থায়ী যেমন গ্যাস, বদহজম বা পাতলা
পায়খানা থেকে। আবার দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাও হতে পারে যেমন ইরিটেবল বাওয়েল
সিনড্রোম (IBS), গ্যাস্ট্রিক আলসার, সিলিয়াক ডিজিজ বা কোলাইটিস।
আরো পড়ুনঃ ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ
এই সমস্যাগুলোর অনেক কারণ থাকতে পারে যেমনঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত
তেল-মসলা, ফাস্ট ফুড, মানসিক চাপ, খাদ্যে অ্যালার্জি, ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ,
এমনকি দীর্ঘদিন ওষুধ সেবন। হজমের সমস্যাগুলো যতই সাধারণ মনে হোক, এগুলো যদি ঘন
ঘন হয় বা দীর্ঘদিন থাকে, তাহলে তা শরীরের পুষ্টি গ্রহণের প্রক্রিয়ায় বাধা
সৃষ্টি করতে পারে, ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ কি
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ (Gastrointestinal Infection) সাধারণত ভাইরাস,
ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী দ্বারা ঘটে, যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রে আক্রমণ করে। এটি
মূলত দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এবং পাকস্থলীর স্বাভাবিক
কাজকর্ম ব্যাহত করে।
সবচেয়ে সাধারণ সংক্রমণগুলোর মধ্যে রয়েছে রোটাভাইরাস, ই-কোলাই, সালমোনেলা ও
অ্যামিবিক ডিসেন্ট্রি। এই লক্ষণগুলো অন্তর্ভুক্ত করে- ডায়রিয়া, বমি, পেটে
মোচড়ানো ব্যথা, জ্বর এবং শরীর দুর্বল লাগা। অনেক ক্ষেত্রে শিশু ও বৃদ্ধদের
মধ্যে এই সংক্রমণ গুরুতর রূপ নিতে পারে।
প্রাথমিক অবস্থায় এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নাও হতে পারে, তবে যদি উপসর্গ
দীর্ঘস্থায়ী হয় বা রক্তপাত দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
সংক্রমণ প্রতিরোধে যা করণীয়:
- বিশুদ্ধ পানি পান করা।
- পরিচ্ছন্ন হাতে খাবার খাওয়া।
- বাইরে থেকে কাটা ফল বা অস্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের লক্ষণ
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রোগের অনেক রকম লক্ষণ থাকতে পারে, এবং এগুলো নির্ভর করে
রোগটি কী ধরনের রোগে ভুগছেন তার ওপর।
সাধারণ কিছু লক্ষণ হলো:
- খাবার খাওয়ার পর পেট ফাঁপা বা গ্যাস জমে থাকা।
- ঘন ঘন ঢেঁকুর ওঠা বা বুক জ্বালা।
- পেটে ব্যথা, বিশেষ করে খাবার পর।
- ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য।
- হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া।
- পায়খানায় রক্ত যাওয়া।
- দীর্ঘদিন ক্ষুধামন্দা বা খাবারে অরুচি।
এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমে অনেকে গুরুত্ব দেন না, কিন্তু এগুলো যদি
নিয়মিত হতে থাকে, তাহলে তা হতে পারে গ্যাস্ট্রিক আলসার, কোলাইটিস বা এমনকি
ক্যান্সারের প্রাথমিক সতর্ক সংকেত। তাই, লক্ষণগুলো বুঝে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া
অত্যন্ত জরুরি।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল হরমোন
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল হরমোন হচ্ছে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যেগুলো আমাদের
হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। এই হরমোনগুলো অন্ত্রে এবং
পাকস্থলীতে তৈরি হয়, এবং তারা খাবার গ্রহণ, হজম ও পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়াকে
নিয়ন্ত্রণ করে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল হরমোন নিচে উল্লেখ করা হলো:
- গ্যাস্ট্রিন (Gastrin): এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিড নিঃসরণে সাহায্য করে, যা খাবার হজম করতে সহায়ক।
- সিক্রেটিন (Secretin): এটি অগ্ন্যাশয় থেকে তরল নিঃসরণ ঘটায়, যা অন্ত্রে অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে।
- সিসটোকাইনিন (CCK): এটি পিত্তথলিকে সংকুচিত করে এবং হজমে সহায়ক এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে।
- ঘ্রেলিন (Ghrelin): এটি আমাদের ক্ষুধা তৈরি করে, তাই একে 'হাংগার হরমোন'ও বলা হয়।
- পেপটাইড YY (PYY): এটি হজম প্রক্রিয়া ধীর করে, যাতে শরীর যথাযথভাবে পুষ্টি শোষণ করতে পারে।
এই হরমোনগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয়, যেমন-
খাবার হজম হতে দেরি হওয়া, অতিরিক্ত ক্ষুধা বা ক্ষুধা না লাগা, গ্যাস্ট্রিক
এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
FAQs
১. পেটের ওষুধ কী কাজে লাগে?
উত্তরঃ পেটের ওষুধ গ্যাস্ট্রিক, গ্যাস, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. গ্যাস্ট্রিক ও গ্যাস কি এক ওষুধে ভালো হয়?
উত্তরঃ না, দুটি সমস্যা ভিন্ন, তাই ওষুধও আলাদা হতে পারে যা একজন চিকিৎসক
নির্ধারণ করে দেয়।
৩. হজমে সমস্যা হলে ওষুধ খাওয়া কি নিরাপদ?
উত্তরঃ প্রাথমিকভাবে নিরাপদ হলেও বারবার সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
৪. কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ কি নিয়মিত খাওয়া যায়?
উত্তরঃ না, কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ কি নিয়মিত খাওয়া যাবেনা। কারণ এটি অভ্যাসে
পরিণত হলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে।
৫. পেটের ব্যথায় একই ওষুধ সবসময় কাজ করে কি?
উত্তরঃ পেটের ব্যথায় একই ওষুধ সবসময় কাজ করে না, কারণ ব্যথার কারণ ভিন্ন হতে
পারে।
৬. একসাথে একাধিক পেটের ওষুধ নেওয়া কি ঠিক?
উত্তরঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া একসাথে একাধিক ওষুধ নেওয়া যাবেনা।
উপসংহার
আমরা অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই পেটের সমস্যা হলে ওষুধ খেয়ে ফেলি।
কিন্তু জেনে রাখা জরুরি যে প্রতিটি ওষুধের নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে এবং তা সঠিকভাবে
জানা দরকার। পেটের ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকলে আপনি নিজের
উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ চিনে নিতে পারবেন। এতে করে ভুল ওষুধ সেবনের ঝুঁকি কমে এবং
চিকিৎসা আরও কার্যকর হয়। এ ধরনের জ্ঞান শুধু নিজের সচেতনতার জন্য নয়, বরং
পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি সহায়ক। তাই নিজের ও পরিবারের সুস্থতার
জন্য জেনেরিক নাম ও কাজ জানা থাকাটা প্রয়োজন।