জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ: NSAIDs

জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ জানতে চান? এই আর্টিকেলে আপনি পাবেন প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেনসহ জনপ্রিয় ওষুধগুলোর কার্যপ্রক্রিয়া ও ব্যবহারের তথ্য। মেডিকেল প্রমোশন অফিসার, নার্স, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই জেনেরিক গুলো। প্রতিটি ওষুধ কোন অবস্থায় ব্যবহার হয় তা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এখানে।

জ্বর-ও-ব্যথার-ওষুধের-জেনেরিক-নাম-ও-কাজ
চিকিৎসা বিষয়ক সঠিক জ্ঞান পেতে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়ুন। ওষুধ ব্যবহারে সচেতনতা গড়তে সাহায্য করবে এমন একটি প্রয়োজনীয় পোষ্ট এটি। জ্বর ও ব্যথা নিয়ে যেকোনো প্রশ্নের সহজ সমাধান এক জায়গায় আমি প্রদান করে দিয়েছি এই আর্টিকেলে।

সূচিপত্র: জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ

এই আর্টিকেল থেকে যা যা জানতে পারবেন তা এক নজরে দেখে নিন-

জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ

জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নামগুলোর মধ্যে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ও ডিক্লোফেনাক অন্যতম। প্যারাসিটামল সাধারণত মাইল্ড থেকে মডারেট জ্বর ও ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয়। আইবুপ্রোফেন ও ন্যাপ্রোক্সেন NSAIDs শ্রেণির ওষুধ, যা প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশম করে।

ডিক্লোফেনাক মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যথায় কার্যকর। প্রতিটি ওষুধের কাজ ও প্রয়োগ আলাদা, তাই প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ জানা থাকলে ওষুধ সম্পর্কে জেনে ওষুধ খাওয়া যায়।

চলুন আমরা এখন প্রত্যেকটি জেনেরিকের নাম ও কাজ জেনে আসি-

A) ব্যথানাশক ও জ্বর কমানোর ওষুধ (Analgesic & Antipyretic)

এই ওষুধগুলো মাথাব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি সাধারণ অসুস্থতায় ব্যবহৃত হয়।
  • Paracetamol – জ্বর ও ব্যথা কমায়, শিশু ও বড়দের জন্য নিরাপদ।
  • Paracetamol + Caffeine – মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনে ভালো কাজ করে।
  • Paracetamol + Tramadol – মাঝারি থেকে বেশি ব্যথায় ব্যবহৃত হয় (ডাক্তারের পরামর্শে)।
  • Paracetamol + Codeine Phosphate – তীব্র ব্যথায় ব্যবহৃত হয়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্যবহার বিপজ্জনক।
  • Ibuprofen – ব্যথা ও জ্বর দুটোতেই কার্যকর।

B) ইনফ্ল্যামেশন ও ব্যথা কমানোর ওষুধ (Anti-inflammatory)

1. NSAIDs (Non-steroidal Anti-inflammatory Drugs)

শরীরের ইনফ্ল্যামেশন, জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস বা মাংসপেশির ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়।
  • Naproxen, Naproxen + Esomeprazole
  • Diclofenac Sodium / Potassium, Diclofenac + Lidocaine
  • Ketorolac, Aceclofenac, Lornoxicam
  • Etoricoxib, Meloxicam, Piroxicam, Nabumetone
  • Flurbiprofen, Meclofenamate Sodium, Indomethacin
  • Celecoxib - অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে কার্যকর এবং পেটে কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

2. Disease-Modifying Anti-Rheumatic Drugs (DMARDs)

দীর্ঘমেয়াদি অটোইমিউন আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
  • Sulfasalazine - ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ব্যবহৃত হয়। এটি ইনফ্ল্যামেশন ধীরে ধীরে কমায়।

3. SAIDs (Steroidal Anti-inflammatory Drugs)

গুরুতর ইনফ্ল্যামেশন বা অটোইমিউন রোগে ব্যবহৃত হয়।
  • Deflazacort
  • Prednisolone
  • Dexamethasone
  • Methylprednisolone
  • Betamethasone

C) গাঁটের স্বাস্থ্য রক্ষার ওষুধ (Joint Supplements)

জয়েন্ট বা কার্টিলেজ সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
  • Glucosamine + Chondroitin
  • Diacerein + Glucosamine
  • Ibandronic Acid
  • Undenatured Type II Collagen + Glucosamine
  • Calcium + Vitamin D3

D) গাউট রোগের ওষুধ (Anti-Gout)

গাউট বা ইউরিক অ্যাসিড জনিত জয়েন্ট ব্যথায় ব্যবহৃত হয়।
  • Febuxostat
  • Allopurinol
  • Colchicine

E) Janus Kinase (JAK) Inhibitor

Rheumatoid Arthritis- এর মত অটোইমিউন রোগে ব্যবহৃত হয়।
  • Baricitinib
  • Tofacitinib
  • Upadacitinib

এন্টি ইনফ্লামেটরি কি

"এন্টি ইনফ্লামেটরি" একটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের শব্দ, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় - প্রদাহ বিরোধী। সাধারণত আমাদের শরীরে যখন কোনো ইনজুরি হয় বা কোনো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের আক্রমণ ঘটে, তখন শরীর প্রাকৃতিকভাবে একটি প্রতিক্রিয়া দেখায়। এটাকেই বলে প্রদাহ বা ফোলাভাব (inflammation)।
এন্টি-ইনফ্লামেটরি-কি
এই প্রতিক্রিয়ার ফলে শরীরের আক্রান্ত জায়গায় ব্যথা, লালচে ভাব, বা কখনো কখনো জ্বরও দেখা দেয়। এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান বা ওষুধগুলো এই অস্বাভাবিক প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এই ধরণের উপাদান আমরা শুধুমাত্র ওষুধেই পাই না, বরং অনেক প্রাকৃতিক খাবারেও এর উপস্থিতি আছে। যেমনঃ হলুদে থাকে কারকিউমিন, আদাতে থাকে জিঞ্জারল, এগুলো শক্তিশালী এন্টি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, গ্রিন টি, অলিভ অয়েল এসবেও রয়েছে প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা।

অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহই শরীরে নানা রোগ ডেকে আনে যেমনঃ আর্থরাইটিস, হার্ট ডিজিজ, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারও। তাই নিয়মিত এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদানযুক্ত খাবার গ্রহণ শরীরকে রোগমুক্ত ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে।

Nsaid ঔষধের নাম কি?

NSAID মানে হলো Non-Steroidal Anti-Inflammatory Drugs, যেগুলো শরীরের ব্যথা, ফোলাভাব ও জ্বর কমাতে ব্যবহার হয়। এই ধরনের ওষুধ আমাদের দেশে খুব পরিচিত এবং সহজলভ্য। NSAID ওষুধগুলোর মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে যেগুলো ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্র ছাড়াও ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। যেমনঃ  আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen), ন্যাপ্রোক্সেন (Naproxen), ডিকলোফেনাক (Diclofenac), মেলোক্সিক্যাম (Meloxicam), এবং কেটোপ্রোফেন (Ketoprofen) ইত্যাদি।

এই ওষুধগুলো মূলত ব্যথা কমানোর পাশাপাশি প্রদাহ দূর করে, এজন্যই আর্থ্রাইটিস, মাংসপেশির টান, দাঁতের ব্যথা কিংবা মাইগ্রেনের মতো সমস্যায় এগুলো ব্যবহার হয়। তবে মনে রাখতে হবে, NSAID ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যেমনঃ পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, অথবা কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ হল এমন এক ধরনের ওষুধ যা শরীরের ব্যথা, ফোলাভাব ও প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যখন আমাদের শরীর কোনো ইনফেকশন, আঘাত বা দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং প্রদাহ তৈরি হয়, তখন এই ওষুধগুলো প্রদাহ সৃষ্টি করা রাসায়নিকগুলোর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে ব্যথা ও অস্বস্তি অনেকটা কমে আসে এবং রোগী স্বস্তি অনুভব করেন।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে:
  • NSAID (Non-Steroidal Anti-Inflammatory Drugs) এবং
  • Steroidal Anti-Inflammatory Drugs।
NSAID-এ যেমন রয়েছে আইবুপ্রোফেন, ডিকলোফেনাক, ন্যাপ্রোক্সেন ইত্যাদি। অন্যদিকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধে থাকে প্রেডনিসোলন বা ডেক্সামেথাসোনের মতো শক্তিশালী উপাদান।

এই ওষুধগুলো শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন আর্থ্রাইটিস, পিঠে ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন কিংবা সাইনাসের ফোলাভাবের মতো সমস্যা মোকাবেলায় সাহায্য করে।

স্টেরয়েডাল বিরোধী প্রদাহজনক ওষুধ কী?

স্টেরয়েডাল বিরোধী প্রদাহজনক ওষুধ (কোর্টিকোস্টেরয়েড) হল এমন এক শ্রেণির ওষুধ যেগুলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সাময়িকভাবে দমিয়ে প্রদাহকে দ্রুত প্রশমিত করে। যখন হাড়ের জয়েন্টে তীব্র ফোলাভাব, গুরুতর অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট (যেমনঃ অ্যাজমা) বা অটোইমিউন রোগ দেখা দেয়, তখন চিকিৎসকেরা সাধারণত এই ওষুধ ব্যবহার করেন।
স্টেরয়েডাল-বিরোধী-প্রদাহজনক-ওষুধ-কী
সবচেয়ে পরিচিত স্টেরয়েডগুলোর মধ্যে রয়েছেপ্রেডনিসোলন, ডেক্সামেথাসোন, হাইড্রোকর্টিসোন এবং মিথাইলপ্রেডনিসোলন। এগুলোর কাজ মূলত প্রদাহ সৃষ্টিকারী কেমিক্যাল সিগন্যাল (সাইটোকাইন) কমিয়ে ব্যথা, লালচে ভাব ও ফোলাভাব দ্রুত নামিয়ে আনা।

NSAID এর তুলনায় এদের পাওয়ারঅনেক বেশি, ফলে অল্প সময়ে উপশম মিলে। কিন্তু এগুলোর দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, হাড় পাতলা হওয়া, রক্তে শর্করা বাড়া, ত্বক পাতলা হওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

তাই স্টেরয়েড সঠিক ডোজ ও নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে কখনও নিজে থেকে খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের স্পষ্ট নির্দেশনা ও নিয়মিত ফলো‑আপ থাকলে এ শ্রেণির ওষুধ তীব্র প্রদাহ সামাল দিতে দুর্দান্ত ফল দেয়।

ডাইক্লোফেনাক কিসের ঔষধ

ডাইক্লোফেনাক একটি খুবই পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ব্যথানাশক ওষুধ, যা মূলত শরীরের ব্যথা, ফোলাভাব ও প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি NSAID (Non-Steroidal Anti-Inflammatory Drug) শ্রেণির মধ্যে পড়ে এবং আর্থ্রাইটিস, মাংসপেশির টান, হাঁটুর ব্যথা, হাড়-জয়েন্টের প্রদাহ, এমনকি দাঁতের ব্যথার মতো সমস্যায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ডাইক্লোফেনাক মূলত শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক একটি কেমিক্যাল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যেটা ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি ট্যাবলেট, ইনজেকশন, জেল বা সাপোজিটরি আকারে পাওয়া যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়।

যদিও ডাইক্লোফেনাক দ্রুত উপশম দেয়, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে বা মাত্রাতিরিক্তভাবে ব্যবহারে পেটের গ্যাস্ট্রিক, আলসার, কিডনি বা লিভারের উপর চাপ ফেলতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ গ্রহণ করুন।

আইবুপ্রোফেন ট্যাবলেট এর কাজ কি

আইবুপ্রোফেন হলো একটি বহুল ব্যবহৃত ব্যথানাশক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ট্যাবলেট, যা মূলত মাথাব্যথা, দাঁতের ব্যথা, পিরিওডের ব্যথা, পেশি টান, জ্বর এবং সাধারণ প্রদাহজনিত ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি NSAID (Non-Steroidal Anti-Inflammatory Drug) ক্যাটাগরির একটি ওষুধ, যা শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থের উৎপাদন বন্ধ করে ব্যথা, ফোলাভাব এবং জ্বর নিয়ন্ত্রণ করে।

এই ট্যাবলেট সাধারণত খাবার খাওয়ার পরে খাওয়া হয়, কারণ এটি খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। আইবুপ্রোফেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২০০ মি.গ্রা. বা ৪০০ মি.গ্রা. ডোজে পাওয়া যায় এবং ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়াও অনেক দেশে এটি সহজলভ্য।

তবে মনে রাখতে হবে, দীর্ঘদিন বা বেশি ডোজে আইবুপ্রোফেন খেলে পেটে আলসার, কিডনি সমস্যা বা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই যে কোনো ব্যথায় স্বস্তি পেতে এই ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

FAQs

১. জ্বর ও ব্যথার জন্য কোন জেনেরিক ওষুধ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: প্যারাসিটামল (Paracetamol) জ্বর ও হালকা ব্যথার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত একটি জেনেরিক ওষুধ।

২. NSAIDs ওষুধগুলো কীভাবে ব্যথা কমায়?
উত্তর: NSAIDs ওষুধগুলো শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক প্রদাহ-সৃষ্টিকারী উপাদান তৈরি কমিয়ে ব্যথা ও জ্বর উপশম করে।

৩. প্যারাসিটামল সব ধরনের ব্যথায় কাজ করে?
উত্তর: না, প্যারাসিটামল মূলত হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা ও জ্বরের ক্ষেত্রে কার্যকর। তীব্র বা প্রদাহজনিত ব্যথায় NSAIDs বেশি উপযোগী।

৪. জ্বর ও ব্যথার ওষুধ কি খালি পেটে খাওয়া যায়?
উত্তর: প্যারাসিটামল খালি পেটে খাওয়া গেলেও ভরা পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ব্যথার ওষুধগুলো খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়।

৫. ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে?
উত্তর: গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, মাথা ঘোরা, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে বিশেষ করে NSAIDs জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে।

উপসংহার

জ্বর ও ব্যথার ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ জানা থাকলে আমরা নিজেরা সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারি এবং ভুল ওষুধ সেবনের ঝুঁকি কমাতে পারি। প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে NSAIDs ওষুধগুলো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার হয় এবং প্রতিটি ওষুধের আলাদা আলাদা কার্যকারিতা রয়েছে। এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র জ্ঞান বাড়ানোর জন্য নয়, ওষুধ ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতেও সাহায্য করে।

মনে রাখবেন, সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। সঠিক ওষুধ চেনা এবং ওষুধের সঠিক জ্ঞান আমাদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়তা করে। তাই ওষুধের জেনেরিক নাম ও কাজ জানা একান্ত প্রয়োজন।

Share This Post ...

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url