ইউএসএ গোল্ড প্রাইস: জুন ২০২৫ এর হালচাল
২০২৫ সালের জুন মাসের ইউএসএ গোল্ড প্রাইস সম্পর্কে আজকের এই আলোচনা।
স্বর্ণের দাম মানেই শুধু অলংকারের হিসাব নয়—এটি বিশ্ব অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ
নির্দেশক। জুন ২০২৫-এ যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের বাজারে কী চলছে, কেন দাম বাড়ছে বা
কমছে, এবং এর পেছনে কোন কোন বিষয় কাজ করছে এই আর্টিকেলে আমরা সেগুলোর সহজ
বিশ্লেষণ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে স্বর্ণকে অনেকেই নিরাপদ বিনিয়োগ
হিসেবে দেখে থাকেন। তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে
স্বর্ণের দাম কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এবং ভবিষ্যতে এর দাম কি হতে পারে।
সুচিপত্র: ইউএসএ গোল্ড প্রাইস: জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সোনার মূল্য সম্পর্কে আপনি যে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন তা এক
নজরে দেখে নিন-
ইউএসএ গোল্ড প্রাইস: জুন ২০২৫
২০২৫ সালের জুন মাসের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী ইউএসএ ২৪ ক্যারেট গোল্ড প্রাইস
প্রতি আউন্সে প্রায় $৩,৩৫০.৪৮ ছিল। (source: usagold.com)
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে জুন মাসে স্বর্ণের দাম ২০২৫
গত এপ্রিল মাসে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ $৩,৫০০.১৬
প্রতি আউন্সে পৌঁছেছিল।
এই দাম বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ হচ্ছে-
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির স্বর্ণ ক্রয় বৃদ্ধি: ২০২৫ সালে, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি প্রায় ১,০০০ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে, যা পরপর চতুর্থ বছরের মতো বিশাল পরিমাণে স্বর্ণ ক্রয়ের ইঙ্গিত দেয়।
- মার্কিন অর্থনৈতিক নীতির অনিশ্চয়তা: ইউএসএ সরকারের অধীনে মার্কিন অর্থনৈতিক নীতির অনিশ্চয়তা এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের প্রতি আগ্রহী হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, বিনিয়োগের আগে
সর্বদা বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বিবেচনা করা উচিত।
স্বর্ণের দামের পূর্ব মূল্য: ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে মে ২০২৫
২০২৪ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের
দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বর্ণের দাম
ছিল প্রতি আউন্সে প্রায় $২,৬৬০.৫০। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এটি সর্বোচ্চ
$২,৯৮৬.৬৮ তে পৌঁছায়। (Source: investingnews.com and exchange-rates.org)
নিচের তালিকায় মাসভিত্তিক স্বর্ণের দামের সারসংক্ষেপ দেওয়া হলো:
- ডিসেম্বর ২০২৪: প্রতি আউন্সে প্রায় $২,৬৬০.৫০
- জানুয়ারি ২০২৫: প্রতি আউন্সে $২,৬২৩.৯১
- ফেব্রুয়ারি ২০২৫: প্রতি আউন্সে $২,৮৬০.৬৭
- মার্চ ২০২৫: সর্বোচ্চ $২,৯৮৬.৬৮
- এপ্রিল ২০২৫: প্রতি আউন্সে $৩,১৬৭.৫৭
- মে ২০২৫: প্রতি আউন্সে $৩,৩১৩.০০
এই বৃদ্ধি বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণে হয়েছে যা আমি পূর্বেই
হালকা আলোচনা করেছি।
স্বর্ণের দামের ভবিষ্যৎ মূল্য পূর্বাভাস: বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত
২০২৫ সালের জুন মাসে স্বর্ণের দাম নিয়ে বাজারে মিশ্র পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক কারণের ভিত্তিতে স্বর্ণের ভবিষ্যৎ
মূল্য সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত প্রদান করেছেন। যেমনঃ
📈 ঊর্ধ্বমুখী পূর্বাভাসঃ
- গোল্ডম্যান স্যাকস বছরের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম $৩,৭০০ প্রতি আউন্সে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের মতে, যদি মন্দা বা বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তবে দাম $৪,৫০০ পর্যন্ত উঠতে পারে। (Source: ebc.com)
- মেটালস ফোকাস ২০২৫ সালে স্বর্ণের গড় মূল্য ৩৫% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে, যা ২০২৬ সালেও অব্যাহত থাকতে পারে।
📉 সংশোধনমূলক পূর্বাভাসঃ
- গোল্ড-ঈগল বিশ্লেষকরা স্বর্ণের দামে একটি সাময়িক সংশোধনের সম্ভাবনা দেখছেন। তাদের মতে, জুন মাসে দাম $২,৮০০ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, তবে পরবর্তী সময়ে দাম আবার বৃদ্ধি পেতে পারে বলে এটাও মতামত দিয়েছেন তারা।
- জেপি মরগান ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্বর্ণের গড় মূল্য $৩,০৬৫ প্রতি আউন্স হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা বাণিজ্য friction এবং de-dollarisation প্রবণতার কারণে মূল্য ওঠানামা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন। (Source: ebc.com and reuters.com)
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, স্বর্ণের বাজারে বিনিয়োগের আগে বর্তমান
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিবেচনা করা
উচিত। স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলেও, বাজারের অস্থিরতা এবং সংশোধনের
ঝুঁকিও রয়েছে।
২৪ ক্যারেট গোল্ড প্রাইস ইন আমেরিকা
২০২৫ সালের ৪ জুন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের দাম প্রতি
আউন্সে প্রায় $৩,৩৬৪.১১ ছিল। এই দামটি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা, মার্কিন
ডলারের মান এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ওঠানামা করে থাকে, তাই
আপনারা নিয়মিত বাজার দরের খোঁজ খবর রাখুন।
উপাদান | মূল্য (আনুমানিক) |
---|---|
আন্তর্জাতিক স্পট প্রাইস | $3,364.00 |
Sales Tax (যদি প্রযোজ্য হয়) | $50.00 |
জুয়েলারি মেইকিং চার্জ (প্রয়োজনে) | $30.00 |
সর্বমোট দাম |
$3,444.00 (আনুমানিক)
|
আপনি যদি আরও বিস্তারিত তথ্য বা অতীতের দামের ট্রেন্ড দেখতে চান, তাহলে
Exchange-Rates.org
ও
GoldPriceData.com
ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করতে পারেন। এই সাইটগুলোতে আপনি দৈনিক, মাসিক এবং
বার্ষিক ভিত্তিতে স্বর্ণের দামের ইতিহাস ও বর্তমান তথ্য পাবেন।
স্বর্ণের দাম বের করার নিয়ম
এখানে আমি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের বর্তমান দাম (জুন ২০২৫ অনুসারে প্রতি
আউন্সে $৩,৩৬৪ ধরে) অনুযায়ী গ্রাম, আউন্স, তোলা—এই তিন মাপে স্বর্ণের দাম
কেমন হয়, তা একটি টেবিলে দেখাচ্ছি। তাহলে দাম বুঝতে আপনাদের সুবিধা হবে।
মাপ / ওজন | রূপান্তর হার | দাম (আনুমানিক USD) |
---|---|---|
১ গ্রাম | 1 oz = 31.1035 g ⇒ $3,364 ÷ 31.1035 | $108.14 |
৫ গ্রাম | $108.14 × 5 | $540.70 |
১০ গ্রাম | $108.14 × 10 | $1,081.40 |
১ তোলা (১১.664g) | $108.14 × 11.664 | $1,261.10 |
১ আউন্স (oz) | আন্তর্জাতিক ইউনিট | $3,364.00 |
৫০ গ্রাম | $108.14 × 50 | $5,407.00 |
১০০ গ্রাম | $108.14 × 100 | $10,814.00 |
অর্থাৎ:
- ১ আউন্স = ৩১.১০৩৫ গ্রাম
- ১ তোলা = ১১.৬৬৪ গ্রাম (বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ব্যবহৃত মাপ)
* দাম বের করার সূত্র = ওজন × প্রতি গ্রাম দাম (যেটা নির্ধারিত
হয় প্রতি আউন্স দাম দিয়ে)
মনে রাখবেন, এই হিসাব শুধু মূল স্বর্ণের দাম (spot price) অনুযায়ী। দোকানে
বিক্রির সময় এতে ট্যাক্স, মেইকিং চার্জ এবং মার্জিন যোগ হবে।
স্বর্ণের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় সমূহ
স্বর্ণের দাম নির্ধারণ হওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়ে বিবেচনা করা হয় তা
নিম্নে নিচে দেওয়া হল-
ধাপ |
উপাদান / বিষয় | ব্যাখ্যা |
---|---|---|
১ | আন্তর্জাতিক স্পট প্রাইস (Spot Price) | প্রতি আউন্স স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারদর (USD-এ নির্ধারিত) |
২ | মার্কিন ডলারের মান (USD Index) | ডলারের মান কমলে স্বর্ণের দাম বাড়ে, বাড়লে দাম কমে |
৩ | মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) | বেশি মুদ্রাস্ফীতিতে মানুষ স্বর্ণে বিনিয়োগ করে, ফলে দাম বাড়ে |
৪ | সুদের হার (Interest Rate) | ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমালে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে |
৫ | ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা | যুদ্ধ, সংকট বা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা হলে দাম বাড়ে |
৬ | চাহিদা ও সরবরাহ | স্বর্ণের বিশ্ব চাহিদা ও প্রাপ্যতার উপর দাম নির্ভর করে |
৭ | স্থানীয় কর ও শুল্ক (Local Taxes & Import Duty) | আমদানিশুল্ক বা স্থানীয় সেলস ট্যাক্স যুক্ত হয় (যেমন যুক্তরাষ্ট্রে Sales Tax) |
৮ | মুদ্রা রূপান্তরের হার | যদি আপনি USD ছাড়া অন্য মুদ্রায় লেনদেন করেন, তখন Exchange Rate যুক্ত হয় |
৯ | জুয়েলারি চার্জ / মেইকিং চার্জ | দোকানে কেনার সময় মেইকিং চার্জ বা প্রক্রিয়াজাতকরণ ফি যুক্ত হয় |
স্বর্ণের দামের পরিবর্তনের কারণসমূহ
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই
বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে, যা নিচে আলোচনা করা হলো:
১. ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার নীতি: ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে
সুদের হার ৪.২৫%-৪.৫০% পর্যায়ে বজায় রেখেছে। বিনিয়োগকারীরা সুদের হার হ্রাসের
প্রত্যাশা করলেও, ফেডের এই অবস্থান স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছে। কারণ,
স্বর্ণ সুদের হার পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল এবং সুদের হার স্থির থাকলে
স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
২. মার্কিন অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতির হার: মার্কিন অর্থনীতিতে
মুদ্রাস্ফীতি এখনও ফেডের লক্ষ্যমাত্রার উপরে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে
বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছেন, কারণ এটি
মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।
৩. ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা: ২০২৫ সালে বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা,
যেমন মার্কিন-চীন বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি, ইউক্রেন সংঘাত এবং মধ্যপ্রাচ্যের
অস্থিরতা, বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের দিকে আকৃষ্ট করেছে। এই ধরনের অনিশ্চয়তা
স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়, কারণ এটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত।
৪. মার্কেট সেন্টিমেন্ট ও ডলার সূচক: ২০২৫ সালে মার্কিন ডলার
দুর্বলতা দেখিয়েছে, ICE ডলার সূচক ৮.৮% হ্রাস পেয়েছে। এই দুর্বলতা স্বর্ণের
দাম বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে, কারণ দুর্বল ডলার স্বর্ণকে অন্যান্য মুদ্রার
ধারকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। (Source: marketwatch.com)
এগুলো সম্মিলিতভাবে ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের দামের বৃদ্ধিতে মূল
ভূমিকা পালন করেছে।
বিশ্ববাজারের প্রভাব: যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণমূল্যের পেছনের বৈশ্বিক চালিকা শক্তি
২০২৫ সালে, বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা
যাচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণমূল্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। নিচে কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কারণ উল্লেখ করা হলো:
১. কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির স্বর্ণ ক্রয় বৃদ্ধি: বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি, যেমন চীন, পোল্যান্ড, আজারবাইজান এবং ইরান,
২০২৫ সালে প্রায় ১,০০০ মেট্রিক টন স্বর্ণ কিনেছে। এই ক্রয় প্রবণতা মার্কিন
ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলার প্রচেষ্টার
অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। (Source: reuters.com)
২. ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন: যুক্তরাষ্ট্র
প্রশাসনের অধীনে বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন, যেমন স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর
২৫% শুল্ক আরোপ, বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের ভূরাজনৈতিক
উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের দিকে আকৃষ্ট করছে।
৩. এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের চাহিদা বৃদ্ধি: চীন, ভারত এবং
জাপানের মতো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলিতে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি
পাচ্ছে। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক কারণে স্বর্ণের প্রতি
আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক স্বর্ণমূল্যে প্রভাব ফেলছে। (Source:
ssga.com)
৪. মার্কিন ডলারের দুর্বলতা: ২০২৫ সালে মার্কিন ডলারের দুর্বলতা
স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। স্বর্ণকে অন্যান্য মুদ্রার ধারকদের
জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তোলে যদি ডলারের রেট দুর্বল থাকে। এর ফলে বৈশ্বিক
চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
FAQs
১. যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণ কেনার সময় Tax দিতে হয় কি?
হ্যাঁ, কিছু রাজ্যে স্বর্ণ কেনার সময় sales tax প্রযোজ্য হয়। তবে এটি
রাজ্যভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
২. স্বর্ণে বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ?
স্বর্ণ দীর্ঘমেয়াদে একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হলেও, এর দাম ওঠানামা
করে। তাই বিনিয়োগের আগে বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা জরুরি।
৩. স্বর্ণের দাম কী কী কারণে বাড়ে বা কমে?
ডলারের মান, মুদ্রাস্ফীতি, ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার, যুদ্ধ বা বৈশ্বিক
সংকট ইত্যাদি বিষয় স্বর্ণের দাম বাড়া ও কমার জন্য বড় প্রভাবক।
৪. যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণ কোন কোন মাপে বিক্রি হয়?
সাধারণত আউন্স, গ্রাম এবং কিরাট অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণ বিক্রি
হয়। ১ আউন্স = ৩১.১০৩৫ গ্রাম।
৫. ২৪ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী?
২৪ ক্যারেট হলো প্রায় ৯৯.৯% খাঁটি স্বর্ণ, যেখানে ২২ ক্যারেটে কিছু ধাতু
মিশ্রিত থাকে। গহনা তৈরিতে সাধারণত ২২ ক্যারেট ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার: ইউএসএ গোল্ড প্রাইস- জুন ২০২৫
২০২৫ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণবাজার নানা বৈশ্বিক ও অর্থনৈতিক
প্রভাবের কারণে বেশ চাঞ্চল্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি স্বর্ণের দাম
ঊর্ধ্বমুখী, যার পেছনে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর
ক্রয় কার্যক্রম এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা।
স্বর্ণ দীর্ঘদিন ধরেই একটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে পরিচিত। তবে এর মূল্য সবসময়
স্থির থাকে না—বাজার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কখনো তা বাড়ে, কখনো কমে।
যারা বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তাদের জন্য স্বর্ণ হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ
অপশন। তবুও মনে রাখা দরকার, প্রতিটি বিনিয়োগের সঙ্গে ঝুঁকি জড়িত। তাই সঠিক
তথ্য যাচাই করে, বাজার বিশ্লেষণ বুঝে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে
নিজ দায়িত্বে বিনিয়োগ করুন।
স্বর্ণ কেনার আগে সর্বশেষ দামের আপডেট ও বাজারের সামগ্রিক ট্রেন্ড ভালোভাবে
যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন—এটাই বুদ্ধিমানের কাজ।